প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ফারসি কন্যাদের ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগে ‘ফারসি কন্যাদের প্রথম ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

মুমিত আল রশিদ, বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. কেএম সাইফুল ইসলাম খান, ড. মো. মুহসীন উদ্দিন মিয়া, মিসেস তানজিনা বিনতে নূর, বাদল মিয়া, আইইআরের সহকারী অধ্যাপক রাহুল চন্দ্র সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুমিত আল রশিদ আয়োজনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

টুর্নামেন্টের প্রথম দিনের নক আউট পর্বে বিভাগের ছাত্রীদের মধ্যে প্রতি ব্যাচ থেকে সর্বোচ্চ তিনটি করে মোট ১২টি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। অংশগ্রহণকারী দলগুলো বিখ্যাত ইরানি ও বাংলাদেশি নারী লেখক, কবি, শিক্ষক, গবেষক এবং চিত্র পরিচালকদের নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রথম দিনের নক আউট পর্বে ১২টি দলের মধ্য থেকে ৬টি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রথম দিনের জয়ী দলগুলো হলো- তাহেরা সাফারজাদে, পুরান দেরাখশানদে, সিমিন বেহবাহানী, পারভিন এতেসামি, সিমিন দানেশভার ও ফোরুগে ফোররুখজাদ।

আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ২টা থেকে সুপার সিক্স রাউন্ড, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এ রাউন্ডগুলো সম্পন্ন হবে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে ‘ডাকাত’ সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছে। ডাকাত সন্দেহ করে মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হলে তাদের পিটুনি দেওয়া হয়। এ সময় আক্রান্তরা পাল্টা গুলি চালালে স্থানীয় চারজন এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছনখোলা (পশ্চিম পাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গণপিটুনিতে নিহত দুজনের মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ অন্তত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত রেজা বলেন, রাত ১০টার দিকে ইওছিয়া ইউনিয়নের চানখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রকৃত কারণ জানতে আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনী আমাকে জানায় যে, ডাকাতরা যখন ডাকাতির চেষ্টা করে, তখন গ্রামবাসী মসজিদের লাউড স্পিকার ব্যবহার করে তাদের উপস্থিতি ঘোষণা করে। এ সময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে দুজনকে ধরে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।’

সাতানিয়া থানার ডিউটি অফিসার আমজাদ হোসেন জানান, এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে দুজন মারা গেছে। তাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা তিনি জানাতে পারেননি। ঘটনাস্থলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অন্যান্য অফিসার আছেন বলে জানান তিনি।
 
স্থানীয়রা জানান, কাঞ্চনার নেজাম নামের এক রাজনৈতিক কর্মী ৫ আগস্টের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফেরেন। ফিরেই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি শুরু করেন। নেজাম গ্রুপের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সোমবার নেজাম আরও কয়েকজনকে নিয়ে ছনখোলা এলাকায় গেলে তারাবি নামাজ পড়ে বের হওয়া মুসল্লিরা নেজাম গ্রুপকে ঘিরে ফেলে। মসজিদের মাইক থেকেও তখন ঘোষণা দেওয়া হয় এলাকায় ডাকাত পড়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নেজাম এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পরে নেজাম ও তার সঙ্গীদের গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নেজাম ও ছালেক নামে দুজন মারা যায়। 

একটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার: পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা র বরাত দিয়ে সাতকানিয়া প্রতিনিধি সুকান্ত বিকাশ ধর জানান, গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তির কাছে থাকা একটি পিস্তল এবং ৮ রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি। 

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, মো. ওবায়দুল্লাহ (২২), মো. নাসির(৩৮), মো. আব্বাস (৩৮) ও মো. মামুন সওদাগর (৪৮)। তাদের হাসপাতালে  চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ