অধিনায়ক বদলের পর একশও করতে পারেনি রাজশাহী
Published: 20th, January 2025 GMT
এনামুল হক বিজয়ের নেতৃত্বে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ২০২ রান করেছিল দুর্বার রাজশাহী। সেঞ্চুরি করেছিলেন খোদ বিজয়। পরের ম্যাচেই তাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চাপমুক্ত থাকার জন্য। কিন্তু বিজয় নেতৃত্ব ছাড়ার পর চিটাগং কিংসের বিপক্ষে একশও করতে পারেনি পদ্মা পাড়ের দলটি।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৯১ রান করে। নতুন অধিনায়ক তাসকিন আহমেদের নেতৃত্বে খেলতে নেমে মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী। পরাজয় ১১১ রানে। নবম ম্যাচে এসে ষষ্ঠ হারে কোয়ালিফায়ারের সম্ভাবনা আরও কঠিন করলো দলটি। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠলো চিটাগং কিংস।
তাড়া করতে নেমে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগং। বিজয়-আকবর আলী জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দুজনের জুটি থেকে ২০ রানের বেশি আসেনি। দলীয় ৪০ থেকে ৮০ রান পর্যন্ত; বাকি ৮ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় রাজশাহী। সর্বোচ্চ ২১ রান করেন বিজয়। ১০ রান আসে আকবরের ব্যাট থেকে। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।
আরো পড়ুন:
প্লে’অফের আশা ছাড়ছে না ঢাকা
১৯২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ল চিটাগং
চিটাগংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম-নাঈম ইসলাম। এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন নাঈম ইসলাম। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন নাঈম।
গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৫ রান। ২০ বলে ৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন।
এ ছাড়া হায়দার আলী ১৪ বলে ২৫ ও রাহাতুল ফেরদাউস ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিতে অবদান রাখেন। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ-মোহর শেখ।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন
প্রশ্নটা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে উঠতই। সবশেষ দশ টেস্ট ইনিংসে যে নেই কোনো ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৭ ভারতের বিপক্ষে কানপুরে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোববার শুরু হওয়া টেস্টে সিলেটে করলেন মাত্র ৪ রান। অত্যন্ত বাজে শটে ফিরেছেন সাজঘরে। তাইতো প্রশ্ন উঠছে, মুশফিকুর রহিমের কি সময় ফুরিয়ে এসেছে?
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পর মুশফিকুর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে আছেন টেস্টে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৯৫ টেস্ট খেলতে নেমেছেন। টেস্টের সেঞ্চুরি করার ইচ্ছা রয়েছে তার। কিন্তু সেই পর্যন্ত টিকবেন তো? দলও কি অফফর্মে থাকা মুশফিককে টানবে? দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেই সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। বিশ্রাম দিয়ে তাকে খেলানো যায় কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল।
উত্তর দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না তিনি, ‘‘দেখুন এটা আমাকে জিজ্ঞেস করে লাভ নেই। আমি টিমের পার্ট কিন্তু সব কিছু না।’’
আরো পড়ুন:
ব্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন
গা-ছাড়া ক্রিকেটে ডুবল আশার সূর্য
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯১ রান করে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে। সবশেষ দশ অলআউট হওয়া ইনিংসের ছয়টিতেই বাংলাদেশ দুইশর নিচে গুটিয়ে গেছে। মুমিনুল ৫৬ ও শান্ত ৪০ রান করেন। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার। এরপর লোয়ার অর্ডারে কেউই পারেননি দলের হাল ধরতে। দলের কেউই রানের মধ্যে নেই। তাদের বাদ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও যে কাউকে নিয়ে এসে খেলাবে সেই উপায়ও নেই। এমনটাই মনে করছেন সালাউদ্দিন।
তার ভাষ্য, ‘‘শেষ ৬টা টেস্টে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভালো করেনি। তাহলে আপনি নতুন কাউকে খুঁজেন। তাকেও আবার তৈরি করতে সময় দিতে হবে। তাকে আমরা সুযোগ দিতে থাকবো। একটা সময়ে আমরা মনে করবো তাকে দিয়ে হবে। বাট রিসোর্স খুবই কম আছে। কিন্তু ওইটা নিয়েও চিন্তা করলে হবে না যে আসলে কি নেই। এর মধ্যে থেকে আমরা কিভাবে বের হতে পারি সেটা নিয়ে জরুরি কাজ করা উচিত।’’
খেলোয়াড়দের প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জ তৈরি করার তাগদা দিলেন তিনি, ‘‘একটা দেশের ক্রিকেট আসলে নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটারের ওপর নির্ভর করে না। পুরো দেশের ক্রিকেটের স্ট্রাকচারটা কেমন এবং ওরা কতোটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে সামনে আসতেছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই চ্যালেঞ্জ ফেস করার জন্য অনেক খেলা খেলতে হবে। সেটা ‘এ’ দল বা এইচপিতে হবে। বা জাতীয় দলে হোক। আপনাকে চ্যালেঞ্জ ফেস করে খেলতে হবে। এগুলোতে কতটা চ্যালেঞ্জ ফেস করে আসছেন এবং কিভাবে ছেলেগুলো বড় হচ্ছে সেটার উপর নির্ভর করবে ক্রিকেট স্ট্রাকচার।’’
সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল