মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘‘যে কোনো উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিক মোকাবিলা করার জন্য থানার প্রতিটি অলি গলিতে ওসিদের পদচারণা থাকতে হবে।’’

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির ৫০টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, ‘‘ভুক্তভোগী বা পুলিশি সেবা প্রত্যাশী সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করতে হবে। থানায় কর্মরত অধীনস্থ সবাইকে নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিং করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের মানুষের নিরাপত্তার যে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছেন তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় এজন্য সঠিক পথে চলতে হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে যত বেশি সম্পর্ক তৈরি করবেন তত বেশি তথ্য পাবেন। এজন্য ওসিদের থানার প্রতিটি অলিগলিতে ঘুরতে হবে, মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে। তথ্য বেশি পেলে অপরাধ ঘটার পূর্বে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’’ 

এ ছাড়া মামলাযোগ্য সব ঘটনায় যথাসময়ে মামলা নিতে এবং জিডির বিষয়ে যথাযথ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন তিনি।

থানা এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অযথা যে সব মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার ঘোরাঘুরি করে সেগুলো তল্লাশি করতে হবে। ছিনতাই প্রতিরোধে বিশেষ করে ভোর বেলায় পুলিশি টহল আরো জোরদার করতে হবে। চাঁদাবাজ যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’’

মতবিনিময় সভায় ভাটারা থানার এএসআই মো.

মেসবাহ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি এএসআই মো. মেসবাহ উদ্দিনের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তা অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের জন্য অনুকরণীয় বলে উল্লেখ করেন।  

গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভাটারার জে-ব্লক এলাকায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়া সত্ত্বেও অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দিয়ে নিজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাটারা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও কুখ্যাত ছিনতাইকারী মো. মোবারক হোসেন নাফিজকে (২২) গ্রেপ্তার করেছিলেন এএসআই মেসবাহ। এ ছাড়া চলমান বিশেষ অভিযানে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ও মোহাম্মদপুর থানার ওসি অধিক সংখ্যক পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করায় তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম প্রমুখ।

ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ