ইবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর
Published: 20th, January 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের আমতলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা তাকে মারধর করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী রাসেল জোয়ার্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ভুক্তভোগী জানান, দুপুর ১২টার দিকে ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (বিএড) পরীক্ষার পর একটা ডেমো ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসের আমতলায় বসে ছিলেন তিনি। এমন সময় দুইটা ছেলে এসে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। তখন একজন বলে উঠেন, ‘ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, ওরে ধর।’ এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ভুক্তভোগী রাসেল জোয়ার্দারের।
তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে তারা তাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এতে তার হাত ও পা কেটে রক্ত বের হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তায় তিনি সেখান থেকে দৌড় দিয়ে প্রশাসন ভবনে আশ্রয় নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তাকে ভ্যানে উঠিয়ে দিলে তিনি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল জোয়ার্দার বলেন, “যারা আমাকে মেরেছে, তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। তবে তারা প্রথম-দ্বিতীয় বর্ষের ছেলে হতে পারে। তারা প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আমাকে মারে। তাদের মারধরে বাম হাতে অনেক ব্যাথা পেয়েছি।”
২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’