ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের আমতলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কারা তাকে মারধর করেছে, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী রাসেল জোয়ার্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

ভুক্তভোগী জানান, দুপুর ১২টার দিকে ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (বিএড) পরীক্ষার পর একটা ডেমো ক্লাস শেষে ক্যাম্পাসের আমতলায় বসে ছিলেন তিনি। এমন সময় দুইটা ছেলে এসে তার নাম জিজ্ঞেস করেন। তখন একজন বলে উঠেন, ‘ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, ওরে ধর।’ এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ভুক্তভোগী রাসেল জোয়ার্দারের।

তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে তারা তাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে মারতে শুরু করেন। এতে তার হাত ও পা কেটে রক্ত বের হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষকের সহায়তায় তিনি সেখান থেকে দৌড় দিয়ে প্রশাসন ভবনে আশ্রয় নেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক তাকে ভ্যানে উঠিয়ে দিলে তিনি ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল জোয়ার্দার বলেন, “যারা আমাকে মেরেছে, তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। তবে তারা প্রথম-দ্বিতীয় বর্ষের ছেলে হতে পারে। তারা প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আমাকে মারে। তাদের মারধরে বাম হাতে অনেক ব্যাথা পেয়েছি।”  

২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে পিএস আইয়ুব আলীর কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় রাসেল জোয়ার্দারসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, রাস্তা অবরোধ

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দীর্ঘদিনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। ২০ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন তারা। একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ও মহাখালীর আমতলী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন।

তিতুমীরের ৫ শিক্ষার্থী বুধবার (২৯জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় অনশন শুরু করেন। ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে কলেজের মূল ফটকের সামনে অনশনে বসেন তারা। তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ সাতটি দাবি তাদের।

অনশনরত গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেছেন, “বুধবার বিকেল থেকে আমরা অনশন করছি। কিন্তু, এখনো আমাদের সাথে সরকারের কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ করেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। অনশনের চেয়ে বড়  কোনো কর্মসূচি হতে পারে না।”

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিচারিতাকে আমরা ধিক্কার জানাই। সাত কলেজসহ কোনো প্রকার কাঠামোতে আমরা যাব না। আমাদের দাবি— স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়।”

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাত দাবির মধ্যে আছে—রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে আবাসিক খরচ বহন করা, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ খোলা, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার মান বাড়াতে আসন সংখ্যা সীমিত করা এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার নির্মাণে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

অনশনে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন—তিতুমীর কলেজের গণিত বিভাগের এফ রায়হান, বেল্লাল হাসান, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ ও রানা আহমেদ।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে গত সোমবার মধ্যরাতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তা না হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

তবে, বুধবার বিকালে অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন যে, তারা অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন।

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে এর আগে নানা কর্মসূচি পালনের পর গত ৭ জানুয়ারি কলেজের প্রধান ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা ব্যানার টাঙিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত ১৮ নভেম্বর মহাখালীর আমতলী, কাঁচাবাজার ও রেলক্রসিংয়ে শত শত শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পরদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ‘ক্লোজডাউন তিতুমীর' কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ৩ ডিসেম্বর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঢাকা/উম্মে হাফছা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৮ ঘণ্টায়ও সড়ক ছাড়েনি তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, দুর্ভোগ
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, রাস্তা অবরোধ