হঠাৎ মোটরসাইকেলে এসে সমন্বয়ককে মারধর, মামলা
Published: 20th, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শেখ ফরাশ ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে টাঙ্গাইলে প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হামলায় আহত শেখ ফরাশ বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আমিসহ বেশ কয়েকজন শহরের আকুর টাকুর পাড়ার ওয়াফেল টাইমের সামনে বসে ছিলাম। এসময় হঠাৎ করে ৫-৭টি মোটরসাইকেলে কয়েকজন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন আমাকে মোড়া থেকে উঠে দাঁড়াতে এবং আরেকজন ওখানেই বসতে বলে। পরে তারা আমাকে দোকানের ভেতরে যাওয়ার জন্য বলে। আমি ভেতরে না গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ একজন মোড়া তুলে আমাকে সজোরে আঘাত করে। এরপর কয়েকজন মিলে আমাকে মারতে থাকে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যাই। পরে তারা আমাকে শহরের মুসলিম পাড়ায় একটি গলিতে নিয়ে এক ঘণ্টা আটকে রাখে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই সদর থানায় মামলা করি। হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দেখেছি। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তাদের দ্রুতই গ্রেপ্তারের দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহম্মেদ বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’