Risingbd:
2025-04-23@12:59:07 GMT

প্লে’অফের আশা ছাড়ছে না ঢাকা

Published: 20th, January 2025 GMT

প্লে’অফের আশা ছাড়ছে না ঢাকা

নয় ম‌্যাচে মাত্র দুই জয়। এখনও তিন ম‌্যাচ বাকি। বিপিএলের প্লে’অফ নিশ্চিতে তিন ম্যাচই জিততে হবে ঢাকা ক‌্যাপিটালসকে। যদি তিন ম‌্যাচ জিতে তাহলে পাঁচ জয় নিয়ে পয়েন্ট হবে ১০।

১০ পয়েন্ট হলেই যে প্লে’অফ নিশ্চিত হবে তেমনটা নয়। অন‌্য দলগুলোর সমীকরণকেও মাথায় রাখতে হবে। তবে আশা এখনই ছাড়ছে না ঢাকা ক‌্যাপিটালস। বিপিএলের নবাগত দলটি শেষ চারের আশাতেই শেষ তিন ম‌্যাচ মাঠে নামবে বলে জানালেন দলের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। সোমবার (২০ জানুয়ারি, ২০২৫) অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পেরেরা ঢাকাকে জিতিয়েছেন। ম‌্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে আসেন সংবাদ সম্মেলনে।

সেখানে দলের প্লে’অফের সম্ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে পেরেরা বলেছেন, ‘‘আমি খুবই খুশি। কয়েকটি ম্যাচ হারার পর এই জয়টি আমাদের দরকার ছিল। সামনের পরিস্থিতি নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। সামনে তিনটি ম্যাচ যদি জিততে পারি, ১০ পয়েন্ট হবে। ক্রিকেটে কী হয়, কেউ বলতে পারে না। এজন্যই ক্রিকেট খেলাটা দারুণ। আজকের জয় নিয়ে আমি খুশি।”

আরো পড়ুন:

১৯২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ল চিটাগং

মানুষ তামিমকে দোষ দিয়ে মজা পায়: মালান

“আমরা যদি এভাবে খেলতে থাকি… এই দলের সম্ভাবনা আমি জানি। ১০ পয়েন্ট হয়ে গেলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। এভাবে খেলতে থাকলে আমাদের ভালো সুযোগ আছে।” – যোগ করেন ঢাকার অধিনায়ক।

সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ রানে হারিয়েছে ঢাকা। আগে ব‌্যাটিং করতে নেমে ঢাকা ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে। সিলেট দারুণ জবাব দেওয়ার পরও ১৯০ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ১৭ বলে ৩৭ রান করেন থিসারা। পরবর্তীতে বল হাতে পান ২ উইকেট। ক‌্যাচ নিয়েছেন ১টি। পারফেক্ট দিন কাটিয়ে ম‌্যাচসেরা হয়েছেন। লিটনের সঙ্গে তার ২৮ বলে ৮১ রানের জুটিতে ঢাকার ইনিংসের চিত্র পাল্টে যায়।

ম্যাচ নিয়ে থিসারার ব‌্যাখ‌্যা, ‘‘ম্যাচের শুরুতে উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য একটু কঠিন ছিল। এজন্য আমরা উইকেট ধরে রেখেছি। মৌলিক কাজ করে গেছি। ব্যাটিং লাইন আপের পরের দিকে তো আমাদের পাওয়ার হাউজ আছেই। আগের দিনও খেয়াল করেছিলাম, দিনের ম্যাচে উইকেট মন্থর থাকে। আমরা ১৬০ রানের কথা ভাবছিলাম। সঠিক লেংথে বল করলে এটা ১৬০ রানের উইকেট। লিটনকে এটাই বলেছিলাম যে, কোনো ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন নেই, নিজেদের জোনে বল পেলে শট খেলা যাবে।”

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচতলা বাড়ির মালিকও টিসিবির কার্ড নিয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

পাঁচ-সাততলা বাড়ি রয়েছে এমন লোকও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ে দেশে এত দুর্বৃত্তায়ন তৈরি হয়েছিল যে, এর থেকে টিসিবি ও বাজার ব্যবস্থাপনা রেহাই পায়নি। এই দুর্বৃত্তায়ন সামাজিক এবং সামগ্রিকভাবে দেশকে পিছিয়ে রেখেছে। সেসব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে টিসিবির কাজে স্বচ্ছতা ও গতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

বুধবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় আর্মি গলফ ক্লাবে ‘টিসিবির সঙ্গে ব্যবসা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি আয়োজিত এ সভায় বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, বাজারজাতকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ীসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। সরকারি কাজকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ কার্ড পায়নি। পাঁচ-সাততলা বাড়ি রয়েছে এমন লোকও টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়েছেন। যাচাই করে দেখা গেছে, প্রশাসনে চাকরি করেন এমন ব্যক্তির পরিবারে তিনটি কার্ড রয়েছে। এভাবে যাচাই করে ভুয়া ৪০ লাখ কার্ডধারীকে টিসিবির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ছিল টিসিবিতে। বাজার ব্যবস্থাপনায় সিন্ডিকেট ছিল। সেগুলো থেকে উত্তরণে বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। টিসিবি প্রতি বছর ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য কিনে। এই টাকায় কীভাবে আরও বেশি পণ্য কেনা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে, মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হচ্ছে। রাইস ব্র্যান তেল রপ্তানি বন্ধের কারণে বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে। টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে পণ্য কিনতে গেলে বাজারে প্রভাব পড়ে। সেজন্য কিছু পণ্য টিসিবি নিজেরা আমদানি করবে।

এ সময় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ-অনুযোগের বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পণ্য সরবরাহকারীদের লেনদেনে কীভাবে আরও স্বচ্ছতা ও গতিশীল করা যায় সে ব্যাপারে কাজ চলছে।

সভায় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফয়সল আজাদ বলেন, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে। যার জন্য নতুন আবেদনকারী ও পুরাতন ডিলারদের ডিসি অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। ১ জুলাই থেকে এসব ডিলারের মাধ্যমে কাজ শুরু করবে টিসিবি।

ভোজ্যতেলসহ প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য টিসিবি সরাসরি আমদানি করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সংস্থাটি।

টিসিবির চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রকৃত উপকার ভোগীরাই যেন ফ্যামিলি কার্ড পায় সেজন্য কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ কার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এক কোটি পূরণে বাকি ৪০ শতাংশ কার্ড জুনের মধ্যে শেষ করা হবে।

এর আগে মুক্ত আলোচনায় টিসিবির সঙ্গে যারা ব্যবসা করেন এবং ব্যবসা করতে চান এমন অনেক ব্যবসায়ী তাদের অভিযোগ ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ