ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের পর অবশেষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) প্রশাসক নিযুক্ত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। আজ সোমবার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. আব্দুর রব খানকে কেআইবির প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান।

আদেশে বলা হয়েছে, নতুন প্রশাসক সর্বশেষ অনুমোদিত কার্যনির্বাহী কমিটির কাছ থেকে অথবা সরাসরি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির মতো সব কর্তৃত্ব ও যাবতীয় দায়িত্ব পালন কবেন। আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। 

এক যুগেরও বেশি সময় কেআইবিতে চলেছে লুটপাট। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের দখলে চলে যায় কেআইবি। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তারা দুই ধারায় বিভক্ত। গত শুক্রবার রাতে এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) আহ্বায়ক রাশিদুল হাসান হারুন ও বিএনপির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই গ্রুপের বিশৃঙ্খলা ও হরিলুট ঠেকাতে রোববার সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ কেআইবিতে যান। তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপর সংঘর্ষে ঘটনায় দুজনকে আটক করে পুলিশ। আজ রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেছেন কেআইবির ম্যানেজার মিজানুর রহমান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক আইব ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি(সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)

২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)

পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।

৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)

অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ