আবু সাঈদ হত্যা: বেরোবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দ
Published: 20th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তদন্ত করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১২ সদস্যের একটি দল। এ দলের নেতৃত্ব দেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার ময়নুল করিম।
শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন দলটির সদস্যরা।
এর আগে, সকাল ৯টার দিকে বেরোবির সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে আসেন তদন্ত দলের সদস্যরা। তারা গত ১৬ জুলাই যেখানে পুলিশ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে, সেই স্থান পরিদর্শন করেন। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুলি করার দৃশ্যের ভিডিও দেখে দেখে বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন করেন।
এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাওহীদুল হক সিয়াম ও আরমান হোসেন তদন্তকারী দলকে ঘটনার সময়ের সার্বিক বিষয়ে অবহিত করেন। এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
পরিদর্শন শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার এসএম ময়নুল করিম বলেন, “বেরোবি শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদসহ বৃহত্তর রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। শহীদ আবু সাঈদের নিহত হওয়ার ঘটনাটি সারা দেশ, এমনকি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেজন্য এ হত্যাকাণ্ডকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “এক সপ্তাহ আগে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তারই অংশ হিসেবে যেখানে আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী যারা ছিলেন, তাদের জবানবন্দি গ্রহণসহ সার্বিক কার্যক্রম করা হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “চিফ প্রসিকিউটরের নির্দেশে আমরা নয়জন তদন্তকারী ও তিনজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১২ জন এসে তদন্ত করছি। গুরুত্বের সঙ্গে আবু সাঈদের হত্যার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা নিশ্চিত হওয়ার পরেই হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করব।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বলেন, “আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে মামলা হয়েছে। সেটা হলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনেও মামলা করতে কোন বিধি-নিষেধ নেই। যত দ্রুত সম্ভব, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ১৬ জুলাই বেরোবির ১ নম্বর ফটকের সামনে আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
ঢাকা/সিয়াম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’