ঢাকাসহ ১৮ জেলার গয়নার দোকানে বসবে ভ্যাট মেশিন
Published: 20th, January 2025 GMT
রাজস্ব আদায় বাড়াতে ঢাকাসহ ১৮টি জেলার সব গয়নার দোকানে ভ্যাট মেশিন বা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য জুয়েলার্স সমিতির কাছে এসব এলাকার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা চেয়েছে সংস্থাটি।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে জুয়েলার্স সমিতির নেতাদের সঙ্গে ইএফডি স্থাপন নিয়ে আলোচনা করে এনবিআর। সেখানে সমিতির নেতারা জুয়েলারি খাতে ভ্যাট, ব্যাগেজ রুল, সোনা আমদানিসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তারা জানান, জুয়েলারি খাতে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের ভ্যাট নিবন্ধন নেই। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে সব প্রতিষ্ঠানে ইএফডি স্থাপনের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার যুক্তিসংগত সমাধান করা গেলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে বলে মন্তব্য করেন জুয়েলার্স সমিতির নেতারা। এনবিআর থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
ওই সভায় এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি এলাকার সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপন করা হবে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এনবিআরের মূসক তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকল্প পরিকল্পনা বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মো.
এনবিআরের চিঠিতে আরো বলা হয়, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন স্থাপনের বিষয়ে ২৩ জানুয়ারি অংশীজনদের নিয়ে সচেতনতামূলক অনলাইন সভা করা হবে। এরপরই জেনেক্স ইনফোসিস ইএফডি স্থাপনে মাঠপর্যায়ে কাজ করবে।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এখন কিছু বলতে গেলেই আন্দোলনে চলে যায়: না.গঞ্জ এসপি
দেশে ৫ আগস্টের পর সবাই আন্দোলনমুখী হয়েছে এবং পুলিশ কিছু বলতে গেলে আন্দোলনে চলে যায় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুশ কুমার মজুমদার।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর আমাদের একটা ধারা দিয়েছে, সেটা হলো সবাই আন্দোলনমুখী হয়ে গেছে। আমরা এখন কিছু বলতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে চলে যায়।’’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যানজট নিরসন বিষয়ে সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
দিনাজপুরে পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘সব কিছুতে¬— ভালো হলেও পুলিশকে গালি দিবে, খারাপ হলেও গালি দিবে। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ এসেছিলাম, তখন নারায়ণগঞ্জে যানজট ছিল একটা মূখ্য বিষয়। আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি।’’
তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ নিয়ে খারাপ দুটি অভিযোগ হলো— পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে এবং পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমাদের পুলিশের কাউকে যদি হাতেনাতে চাঁদা নিতে দেখাতে পারেন, আমি যদি তাকে সাসপেন্ড করে বাড়ি না পাঠাতে পারি, তাহলে আমি এসপি গিরি ছেড়ে দিবো।’’
এসপি প্রত্যুশ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলে, পুলিশ চাইলেই ফুটপাত উচ্ছেদ করে দিতে পারে। এ নারায়ণগঞ্জে এক-দেড় কোটি মানুষের জন্য মাত্র ১৮শ’ পুলিশ। অথচ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ৩৫শ’ পুলিশ। ১৮শ’ পুলিশ দিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। আমি নারায়ণগঞ্জে আসার পর ৫৫ জন ট্রাফিকে এড করেছি। অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু বাস্তবে করা আসলে কঠিন। আমাদের যে পুলিশ আছে, তা দিয়ে আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিবো।’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘পুলিশ যদি বৈধ কাজ করে, অন্যায়ের কাজে জরিমানা করে; তাহলে আপনারা দয়া করে বাধা দিবেন না, এই কথা আপনাদের দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জে রাস্তাগুলো ভালো না, সেটা নিয়ে আপনারা কথা বলেন না কিন্তু আপনারা পুলিশকে দোষারোপ করেন।’’
ঢাকা/অনিক/বকুল