ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদী থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের বারইকরন এলাকার নদীর তীর থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।

এদিকে, মারা যাওয়া শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করেছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ। পোশাক দেখে তিনি এমনটি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আমি পোশাক দেখে নিশ্চিত হয়েছি, উদ্ধার হওয়া নবজাতকের লাশটি আমার মেয়ের।”

আরো পড়ুন: নবজাতককে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

আরো পড়ুন:

‌‘আমার কাছে বালির মূল্য বেশি, মানুষের কোনো মূল্য নাই’

গাইবান্ধা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড
‘একজন মানুষ কয়জনকে সামাল দিতে পারি’ 

উদ্ধার হওয়া মরদেহ ওই ব্যক্তির সন্তান কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানার ওসি আবদুস সালাম। 

এর আগে, পাঁচ দিনের এক নবজাতককে বরিশালের দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মায়ের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনটি ঘটে। অভিযুক্ত ঐশী আক্তার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের মুনসুর হাওলাদারের মেয়ে। 

সোহেল আহমেদ বলেন, “আমি এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনার পর ঐশী আক্তার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল থেকে পালিয়েছেন।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ নদীর তীরে নবজাতকের মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন তারা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নবজাতকের বয়স আনুমানিক ৫ থেকে ৭ দিন হবে। 

নলছিটি থানার ওসি আবদুস সালাম বলেন, “নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উপজ ল র মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পায়ে তেল মালিশে দূর হবে ঘুমের সমস্যা

ব্যস্ত জীবন এবং নানামুখী চাপের কারণে অনেকেরই রাতে ভালোভাবে ঘুম হয় না। এর ফলে সারাদিন ঝিমঝিম লাগে, কাজে মনোযোগের ঘাটতি হয়। কেউ কেউ ঘুম না আসায় গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। 

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য মানসিক চাপ কমানো এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরামর্শ দেন। যারা ক্লান্তি, পায়ে ব্যথা, অনিদ্রা এবং মানসিক চাপের সমস্যায় ভুগছেন রাতে ঘুমানোর আগে তারা পায়ের তলায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন। এই পদ্ধতি ভালো ঘুমের সহায়ক হবে।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও, পায়ের তলায় তেল মালিশ করলে ভালো ঘুম হয়। পা মালিশ করলে শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয়, যার ফলে শরীর আরাম বোধ করে। তবে কোন তেল পা মালিশের জন্য সবচেয়ে ভালো তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।

তিলের তেল

মানসিক চাপ এবং অনিদ্রা দূর করতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন এই তেল দিয়ে পায়ের তলায় ম্যাসাজ করুন। এতে থাকা টাইরোসিন অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন হরমোন বাড়ায়, যা এক ধরনের সুখ হরমোন। এই তেল দিয়ে পা মালিশ করলে মুড ভালো হয়। এর ফলে ঘুমও ভালো হয়। 

সরিষার তেল
আয়ুর্বেদে সরিষার তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলেও বলা হয়েছে। এই তেল দিয়ে পায়ে মালিশ করলে পেশি শিথিল হয় এবং রক্ত ​​সঞ্চালনের গতি উন্নত হয়। যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন পায়ে হালকা গরম সরিষার তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে আরাম বোধ করবেন। এই পদ্ধতি উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ দূর করতেও সহায়ক বলে বিবেচিত হয়।

ল্যাভেন্ডার তেল
এই তেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি পায়ের ম্যাসাজের জন্য ব্যবহার করলে বেশ আরাম পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। অনিদ্রা দূর করার জন্য এটি অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক চিকিৎসা। এর পাশাপাশি, যারা অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি একটি প্রতিকার হিসেবেও বিবেচিত। এই পদ্ধতি রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে।

নারকেল তেল
নারকেল তেল দিয়ে পায়ের ম্যাসাজ করলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং মাসনিক চাপের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পায়। এর পাশাপাশি, পেশি বা পায়ে ব্যথা থাকলে এই তেল লাগালে অনেক আরাম পাওয়া যাবে।

বাদাম তেল
বাদাম তেল দিয়ে পায়ের ম্যাসাজ করলে মানসিক চাপ দূর হয় এবং বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠা যায়। মানসিক শান্তির জন্য, প্রতিদিন এই তেল দিয়ে আপনার পায়ের তলায় ম্যাসাজ করুন। এতে উপকার পাবেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ