মাধবপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা
Published: 20th, January 2025 GMT
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাধবপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর শাখার যৌথ আয়োজনে সোমবার বিকেলে মাধবপুর উপজেলা মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ধর্মঘর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মো.
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু, সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান মাহবুর রহমান সোহাগ, যুগ্ম সম্পাদক সুমন চৌধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী গোলাপ খান, সেক্রেটারি আলা উদ্দিন আল রনি, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সৈয়দ মো. শাহজাহান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি দেশ গঠনে অতুলনীয় ভূমিকা রেখেছেন। দেশের মানুষের হৃদয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতির নাম লেখা রয়েছে। কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ইতিহাস বিকৃত করে জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে চেয়েছিল। জনরোষে এখন তারা দেশ থেকে বিতাড়িত।
তিনি বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। দেশে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে জাতির জন্য মঙ্গল। কারণ পরাজিত অপশক্তি এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন মানুষ ভোট দিতে মুখিয়ে রয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বরণ করে নিতে দেশে লাখো কোটি জনতা অপেক্ষা করছেন।
আলোচনার সভার পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম ধবপ র উপজ ল ব এনপ র স র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
পলান সরকারের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা
আলোর ফেরিওয়ালাখ্যাত পলান সরকারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার এ উপলক্ষে প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে বন্ধুসভার উদ্যোগে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম আলোর রাজশাহী বন্ধুসভার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, বন্ধুসভার বন্ধু দেবযানি বিশ্বাস, মো. আসিফ ইমতিয়াজ, নাহিদ হাসান, সুশীল পাল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, আলোকিত মানুষ পলান সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে হবে। এ জন্য বই পড়ার কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। নিজে বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের বই পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তাঁরা।
পলান সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামে পলান সরকার পাঠাগারে দোয়া অনুষ্ঠান ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ১ মার্চ ৯৮ বছর বয়সে পলান সরকারের মৃত্যু হয়। ১৯২১ সালের ১ আগস্ট পলান সরকার জন্মগ্রহণ করেন। নিজের টাকায় বই কিনে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেই বই দিয়ে আসতেন। পড়া শেষ হলে নতুন বই দিয়ে পুরোনো বইটি ফেরত নিয়ে আসতেন। এভাবে তিনি এলাকায় বই পড়ার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই অবদানের জন্য ২০১১ সালে পলান সরকার একুশে পদকে ভূষিত হন। পলান সরকারকে নিয়ে ২০০৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলো সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র ছুটির দিনে ‘বিনিপয়সায় বই বিলাই’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়।