সিপিবির 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' ২১-২৭ জানুয়ারি
Published: 20th, January 2025 GMT
কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' করবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বর্ধিত ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান, চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব-দুর্নীতি-হামলা বন্ধ এবং জাতীয় সংসদের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দাবি মেনে নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হবে।
সোমবার সিপিবি'র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে আরও বলা হয়, 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' কর্মসূচি পালনকালে সিপিবি'র কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ সময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়া ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পতাকা তলে দেশবাসীকে সমবেত হবার আহ্বান জানাবেন তারা।
ঢাকার কর্মসূচি: গণতন্ত্র অভিযাত্রার প্রথম দিন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হবে। সিপিবি'র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে যত দেরি, ক্ষতি তত বেশি: আমীর খসরু
নির্বাচনে যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যত দেরি করবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, সেটা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত কমিটিকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্রুততম সময়ে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে। একেকটা দিন যাচ্ছে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যতীত, একেকটা সমস্যা বাড়ছে। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো গণতান্ত্রিক অর্ডারের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, দায়বদ্ধ সরকার, যাদের পলিটিক্যাল ওয়েট থাকবে, যাদের পলিটিক্যাল মোবিলাইজেশন ক্যাপাসিটি থাকবে, যাদের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে, তারাই এ সমস্যার সমাধান করতে পারে।
বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, পুলিশ, র্যাব ও সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো কিছুর সমাধান করতে পারবেন না।
নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন জুন মাসের মধ্যে সম্ভব। নির্বাচন কমিশন যেটা বলছে, তাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে কোনো সন্দেহ প্রকাশ করছে না। নির্বাচনের বিষয়টা সরকারকে বলতে হবে। সরকারের পলিটিক্যাল উইল (রাজনৈতিক ইচ্ছা) থাকতে হবে, ইচ্ছা থাকতে হবে এবং সেটার অপেক্ষায় জনগণ আছে।
এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কর আইনজীবী ফোরামের নবনির্বাচিত নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, কর আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মাহবুবুস সালেকীন, সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের মেসবাহ উপস্থিত ছিলেন।