নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ দফা দাবিতে আরএন নীট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে শ্রমিকরা ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে জেলা পুলিশ লাইনসের সামনে সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন।

এ সময় সড়কটিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী সাধারণ। পরে বিকেলে মালিক পক্ষ তাদের দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার থেকে কাজে যোগদানের ঘোষণা করেন। 

এর আগে রোববার একই দাবিতে শহরের চাষাঢ়া বিকেএমইএ ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল আরএন টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) সেলিম বাদশা জানান, শ্রমিকরা ১২ দফা দাবিতে ও তাদের ছাটাইয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছিল।

আমাদের শিল্প পুলিশ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ সেখানে মালিক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করেছেন। মালিকপক্ষ দাবি মেনে নিয়েছে, শ্রমিকরা ফিরে গেছে, কাল থেকে কাজে যোগ দেবে। 

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শিল্প পুলিশের সিনিয়র এএসপি সাদিক রহমান, মালিকপক্ষ, শ্রমিক নেতা নাঈম খান বিপ্লব এবং আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের ১২ দফা দাবিগুলো হলো- সকল শ্রমিকদের বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ৯ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। সকল শ্রমিকদের (প্রোডাকশন ও বেতন) বাৎসরিক অর্জিত ছুটির টাকা দিতে হবে। ৭ কর্ম দিবসে বেতন পরিশোধ করতে হবে। হাজিরা বোনাস পাঁচশ টাকা দিতে হবে ( প্রোডাকশন ও বেতন)। 
সরকার ঘোষিত নূন্যতম ১২ হাজার ৫শ’ টাকা বেতন দিতে হবে। রিজাইন দিলে শ্রম আইন অনুযায়ী প্রোডাকশন ও বেতনের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে। স্ব- বেতনের শ্রম আইন অনুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে। প্রোডাকশন শ্রমিকদের ছয়টার পর কাজ করলে ওভার টাইমের দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে। 

কাজ না থাকলে বেসিকের সমপরিমাণ হাজিরা দিতে হবে। সকল শ্রমিকদের নাইট বিল ৬০ টাকা দিতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী মাসিক বেতন ও প্রোডাকশন শ্রমিকদের দুই ঈদের দুইটি বেসিকের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস দিতে হবে। 

অবিলম্বে প্রোডাকশন ম্যানেজার (পিএম) রিপন ও তৃতীয় তলা সুইয়িং ইনচার্জ আশিকের চাকুরী হতে অপসারণ করতে হবে। বহিরাগত সন্ত্রাসী সহ পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা চলবে না।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ প র ড কশন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ঈদের নামাজের পর এক দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় এক ইমামকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা।

সোমবার (৩১ মার্চ) কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন চর কাশিপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।

তিনি অভিযোগ করেন, নামাজের দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল তাকে হয়রানি করেছেন।

ইমদাদুল হক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন যে তাকে “হয়রানি করা হয়েছিল এবং চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”

“ঈদের দিন ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম.. “শিরোনামের তার পোস্টে, ইমদাদুল ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। স্থানীয় অনেকেই যুবদল নেতার আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এরই মধ্যে পোস্টটি শতাধিক মানুষ শেয়ার করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে টার দিকে অনুষ্ঠিত হয়। আখেরি মোনাজাতের সময়, ইমাম দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেন। তবে তিনি কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করেননি।

নামাজের পর, যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল এবং তার অনুসারীরা ইমাম ইমদাদুল হকের মুখোমুখি হন। অনুরোধ সত্ত্বেও ইমাম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইকবাল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি ইমামের সাথে তর্ক শুরু করেন, তবে অন্যান্য মুসলিম ব্যক্তিদের তীব্র আপত্তির মুখে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।

মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নামাজের আগে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক এবং ঈদগাহ কমিটির সদস্য তাকে খালেদা জিয়ার আরোগ্যের জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে, তিনি কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ না করে সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নেন।

“আমি যথারীতি নামাজ আদায় করেছি এবং কারও নাম উল্লেখ করিনি কারণ এটি সকল রাজনৈতিক পটভূমির লোকদের নিয়ে একটি জনসমাবেশ ছিল। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেছি, কিন্তু নামাজের পরে যুবদল নেতা ইকবাল আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন। তিনি আমার সাথে আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলেন, আমি কেন তার নাম নেই নি তা জানতে চান। 

ইমদাদুল হক স্থানীয় বিএনপি নেতাদের যুবদল নেতার অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করি নি। আমি কেবল জিজ্ঞাসা করেছি, অনুরোধ করার পরেও খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেননি কেনো। 

তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, যে তিনি তা করতে বাধ্য নন। তারপর আমি তার চাকরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং পরে জানতে পারি তার মসজিদ কমিটির সভাপতি আমাদের ছোট ভাইদের একজন। ইমামকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সভা
  • সিদ্ধিরগঞ্জে  চাঁদাবাজিসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সভা
  • সিদ্ধিরগঞ্জে  চাঁদাবাজীসহ সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সভা
  • নারায়ণগঞ্জে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার
  • নারায়ণগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবককে গুলি করে হত্যা
  • ঈদের স্পিরিট ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো : ডিসি জাহিদুল
  • ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তাজুল ইসলাম আর নেই, মামুন মাহমুদ’র শোক
  • দোষী সাব্যস্ত লো পেন, সরকারি দায়িত্ব পালনে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
  • ঐতিহ্যবাহী সনমান্দী বড় ঈদগাহ এর সভাপতি হলেন সাংবাদিক মনির
  • ঈদের মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি