কুমিল্লার দাউদকান্দি মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিজেকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ওই পদ থেকে বিতাড়িত নজরুল ইসলাম।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান নজরুল ইসলাম। বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও এলাকাবাসীও মানববন্ধনে যোগ দেন।

মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামকে জোরপূর্বক মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়। নজরুল কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এরপরও অন্যায়ভাবে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন, নজরুল ইসলাম ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন। এরপর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল লতিফ চৌধুরী তাকে প্রশাসনের যথাযথ নিয়মে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। গত ৩৬ বছর এই মাদ্রাসায় কর্মরত থেকে এটিকে আলিম স্বীকৃতিসহ এমপিওভুক্ত করা এবং এর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার কারণেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে এলাকার শত শত ছাত্র ছাত্রী দ্বীন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ নজরুলকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে মাদ্রাসাটিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। 

এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রুহুল আমিন ও তার অনুসারী কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রদের নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তাকে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এনে এবং কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে তাকে মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পদ দখল করার অপচেষ্টা চলানো হচ্ছে। 

তিনি বলেন, গত বছরের ৬ আগস্ট উপাধ্যক্ষ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক ছাত্র তাকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করানোর জন্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার অফিসের যাবতীয় কাগজপত্র জোর করে উপাধ্যক্ষ নিজের আয়ত্তে নিয়ে উপজেলা আইসিটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে দিয়ে দেন। এরপর থেকে তাদের বাধার কারণে তিনি মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে পারছেন না। ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষার করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবং মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ষড়যন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত গাড়ি থামিয়ে নারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, অভিযোগ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা একজন নারী শিক্ষককে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুই বছর আগে তাঁর একজন কিশোর ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেছেন।

গত ১৬ মার্চ ক্রিস্টিনা ফরমেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি ইউটিউবে একটি চ্যানেলে তাঁকে গ্রেপ্তারের সময় অভিযোগ শুনে তিনি তাৎক্ষণিক কী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন, তার ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

রাজ্যের ডাউনার্স গ্রোভ সাউথ হাইস্কুলের বিশেষ শিক্ষার (স্পেশাল এডুকেশন) একজন শিক্ষক ফরমেলা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই বছর আগে ১৫ বছরের এক কিশোরকে লেখাপড়া করানো এবং তার ফুটবল কোচ হিসেবে কাজ করার সময় ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেছেন তিনি।

পুলিশ বলেছে, ফরমেলা ও ওই কিশোর পরস্পরের মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে বার্তা আদান–প্রদান করেছেন। সে মেসেজে যৌনতা নিয়েও নানা কথা আছে।

বেশ কিছুদিন আগে ওই কিশোরের মা নতুন একটি ফোন কিনে সেটি ছেলের জন্য ঠিকঠাক (সেটিংস) করে দিতে গিয়ে ওই মেসেজগুলো খুঁজে পান। এরপর তিনি ছেলের কাছে কী ঘটেছে, তা জানতে চান। ছেলে মায়ের কাছে ওই শিক্ষকের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা খুলে বলে এবং জানায়, সে পরে ওই সম্পর্কের ইতি টেনেছে।

মায়ের উৎসাহে ছেলেটি পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করে, যার ভিত্তিতে শিকাগো থেকে পুলিশ ফরমেলাকে গ্রেপ্তার করে। সে সময় স্বামীর সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিলেন এই শিক্ষক। পুলিশ যখন তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলে, তখন ফরমেলাকে দ্বিধান্বিত দেখাচ্ছিল।

পুলিশের বডি ক্যামেরায় পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।

পুলিশ ফরমেলার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে জরুরি জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে তাদের সঙ্গে যেতে বলে।

ফরমেলার স্বামীকে তখন গাড়িতে বসেই পুলিশকে প্রশ্ন করতে দেখা যায়, ‘সে কি কোথাও যাচ্ছে?’ উত্তরে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আপনাকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে চলেছি।’ ফরমেলাকে পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হবে।

ফরমেলা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি বমি করে দেবেন।

পুলিশের গাড়িতে বসে ওই শিক্ষক বলেন, ‘আমার খুবই ভয় লাগছে। আমার স্বামী কি সঙ্গে আসবেন? আমি কি বিপদে আছি? আমার খুবই হতাশ লাগছে।’

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এই নারী বলেন, অভিযোগকারী তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছেন। তিনি দেখতে সুন্দর বলেই তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলেও জোর দাবি করেন তিনি।

পুলিশ ফরমেলাকে আদালতে হাজির করেছে। আদালতের নথি অনুযায়ী ঘটনার বর্ণনায় ফরমেলা বলেছেন, ‘একদিন ওই কিশোর তাঁর ফোন হাতে পেয়ে যায়, পাসকোড দিয়ে সেটি খুলে ফেলে এবং তাঁর ফোন থেকে নিজের ফোনে একটি বার্তা পাঠায়। এরপর তাঁর ফোন থেকে ওই বার্তা মুছে দেয়। কিন্তু তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য নিজের ফোনে ওই বার্তা রেখে দেয়।’

ওই শিক্ষক দাবি করেন, তিনি দেখতে সুন্দর। তাই সবাই তাঁর পেছনে লাগে।

ওই নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি গুরুতর অপরাধমূলক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, ফরমেলা স্কুল প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন না এবং ১৮ বছরের কম বয়সী কারও সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তাঁকে চাকরি থেকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে পঞ্চায়েত কমিটির দ্বন্দ্বে ঈদগায় হলনা ঈদ জামাত  
  • শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: অ্যাটর্নি জেনারেল
  • চলন্ত গাড়ি থামিয়ে নারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, অভিযোগ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন
  • পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে: রিজভী
  • শুধু মা-বাবার নামটুকু বলতে পারছে আহত শিশু আরাধ্য
  • পরাজিত শক্তি নিউ ইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে: রিজভী
  • ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যা
  • অভিষিক্ত অশ্বিনীর বলে, রায়ানের ব্যাটে মুম্বাইর প্রথম জয়
  • ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরে ত্বকের যত্নে করণীয়
  • হল্যান্ডের ইনজুরিতে ম্লান সিটির সেমিতে ওঠার আনন্দ