পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমা।  

সোমবার (২০ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে অনুপ কুমার চাকমাকে ‍দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব আবুল হায়াত মো.

রফিক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, “পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৪ এর ৬(২) ধারা অনুযায়ী মেজর জেনারেল (অব) অনুপ কুমার চাকমা অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় ও আর্থিক সুবিধাদিসহ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।” 

প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে এই পদটি শূন্য ছিল। প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর চেয়ারম্যান পদে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অনুপ কুমার চাকমাকে নিয়োগ প্রদান করে সরকার।

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন শহীদ নুরের স্ত্রী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ হন নুর আলম। এর দুই মাস পর জন্মনেয় তার সন্তান। স্বামীর মৃত্যুর পর নুর আলমের অসহায় স্ত্রী খাদিজা বেগম সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর ভিটেমাটিতে থাকার আশ্রয়টুকুও হারান। খাদিজা তার সদ্য ভূমিষ্ট শিশুকে নিয়ে দুই চোখে অন্ধকার দেখছিলেন। 

এমতাবস্থায় তার সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম। খাদিজা অষ্টম শ্রেণি পাস হওয়ায় তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচিচর মুন্সিপাড়া এলাকায় অসহায় কৃষক বাবার বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটতে থাকে খাদিজা বেগমের। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানা, উপজেলা প্রশাসন ও ব্যক্তি পর্যায়ে তার জন্য কিছুটা সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেন। খাদিজার দুর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তির জন্য স্থায়ীভাবে কিছু করা সম্ভব হয়নি। খাদিজার অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

নির্বাহী প্রেসিডেন্ট খুঁজছে বিআইসিএম, মূল বেতন পৌনে ২ লাখ

ইস্টার্ন ব্যাংক চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা

গতকাল মঙ্গলবার তিনি অসহায় খাদিজা বেগমকে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসেন। অষ্টম শ্রেণি পাস হওয়ায় খাদিজাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হোস্টেলে কাজের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

এ সময়  কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্য সচিব সাংবাদিক আশরাফুল হক রুবেল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দেওয়ান এনামুল হক,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা, ডা. বাঁধন উপস্থিত ছিলেন।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহ. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‍“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ২০ জুলাই পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ নুর আলমের স্ত্রীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেয়েদের হোস্টেলে চাকরি দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্প কেন পেন্টাগনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন
  • কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেলেন শহীদ নুরের স্ত্রী