আদমজী নগর কবরস্থান কমপ্লেক্স মাদরাসার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
Published: 20th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দক্ষিণপাড়া এলাকায় আদমজী নগর কবরস্থান কমপ্লেক্স মসজিদ নির্মাণের পর এবার আদমজী নগর কবরস্থান কমপ্লেক্স মাদরাসার বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আদমজীনগর করস্থান কমপ্লেক্সের সাবেক সভাপতি মরহুম হুমায়ুন কবিরের পরিবারের অর্থায়নে এই নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এসময় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ও আদমজীনগর কবরস্থান কমপ্লেক্সের উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন রবিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন কবরস্থান কমপ্লেক্সের প্রধান উপদেষ্টা কবি ও কলামিষ্ট এম এ মাস্উদ বাদল।
আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্সের খতিব মাওলানা ফজলুল করীম ফারুকীর সঞ্চলনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাছির উদ্দিন স্বপন, সিদ্দিকুর রহমান খানঁ, কার্যকরি কমিটির বর্তমান সভাপতি আলহাজ তানভীর কবির মুন্না, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাহিল উদ্দিন মাষ্টার, সহ সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ কবির, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন,কার্যকরি সদস্য এম এ হাসনাত রাসেল, গাজী মোশারফ হোসেন, মোঃ মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
এসময় আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্স মসজিদের বর্তমান সভাপতি তানভীর কবির মুন্না বলেন, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আশা করি পরিপূর্ণভাবে মাদরাসা ভবনটি নির্মাণ হবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন নন্দিত মোফাছছেরে কোরআন আলহাজ্ব হযরত মাওলানা কামরুল ইসলাম আরেফি সাহেব।
এদিকে সভায় সর্ব সম্মতি ক্রমে কদমতলী উত্তপাড়া জামে মসজিদের প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ শাহজাহান সাহেবকে আদমজী কবরস্থান কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করে নেয়া হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ থ ন কমপ ল ক স র উপদ ষ ট আলহ জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘শয়তানের নিঃশ্বাসে’ খোয়া গেলো ব্যবসায়ীর লাখ টাকা
বরগুনায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশ্যে ১ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ক্রেতা সেজে দোকানে প্রবেশ করে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ (স্কোপোলামিন) দিয়ে কৌশলে এই টাকা নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মামুন মিয়া।
রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩ টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মনোহারী পট্টি এলাকার মেসার্স হাওলাদার স্টোর নামে একটি জাল ও দড়ি বিক্রির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর শহরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের থেকে জানা যায়, চক্রের দুই সদস্য ক্রেতা সেজে হাওলাদার স্টোর নামের দোকানটিতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা দোকানের মালিক মামুনের সঙ্গে দড়ি কেনার কথা বলে বিভিন্ন ধরনের আলাপচারিতা শুরু করেন। পরে দোকান থেকে ৪০ টাকার দড়িও কিনেন তারা। এরপর চক্রের সদস্যরা পকেট থেকে একটি বিদেশি টাকা বের করে কোন ব্যাংকের মধ্যমে ভাঙানো যাবে তা জানতে চায় মামুন মিয়ার কাছে। এসময়ে পকেট থেকে আরেকটি ১ হাজার টাকার নোট বের করে খুচরো দেওয়ার কথাও বলেন তারা। পরে চক্রের সদস্যদের কথা অনুযায়ী ক্যাশ বাক্সের ড্রয়ার খুলে খুচরা টাকা দেওয়া শুরু করলে মামুন মিয়ার চোখের সামনেই হাত দিয়ে ১ লাখ টাকার একটি বান্ডিল উঠিয়ে নিয়ে দোকান থেকে দ্রুত চলে যায়।
হাওলাদার স্টোরের কর্মচারী মেহেদী হাসান এ বিষয়ে বলেন, “দড়ি কেনার কথা বলে দুই ব্যক্তি দোকানে আসে। আমি অন্য আরেকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলছিলাম এসময়ে। প্রতারক চক্রের ঐ দুজন মালিকের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাবার্তার এক ফাঁকে ১ লাখ টাকা নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার দুই এক মিনিট পর টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে দোকান থেকে বের হয়ে তাদেরকে আর পাওয়া যায়নি।”
মামুন মিয়া বলেন, “দড়ি কেনার উদ্দেশ্য করে দুজন ব্যক্তি আমার দোকানে আসে। এ সময় একটি বিদেশি টাকা দেখিয়ে কোন ব্যাংক থেকে ভাঙাবে এবং কাছাকাছি কোনো ব্যাংক আছে কিনা তা জানতে চায়। পরে তারা পকেট থেকে ১ হাজার টাকার একটি নোট বের করে আমার কাছে খুচরো চায়। তবে খুচরো টাকা দেওয়ার সময় আমার চোখের সামনেই ক্যাশ বাক্স থেকে ১ লাখ টাকার একটি বান্ডিল বের করে নিয়ে চলে যায় তারা। এসময় আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলাম না। পরবর্তীতে দুই এক মিনিট পর বুঝতে পেরে ওই দুজনকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।”
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, “ব্যবসায়ীর থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে ওই ব্যবসায়ী এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “শয়তানের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় প্রকাশ্যে আসেনা। যখন প্রকাশ হয় তখন অপরাধীরা পালিয়ে যায়। বিশেষ করে অন্য জেলা থেকে এ সব চক্রের সদস্যরা এসে অপরাধ সংঘটিত করে দ্রুত চলে যায়। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশকে জানালে অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে সহজ হয়।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু