নদীতে মিলল নিখোঁজ মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ
Published: 20th, January 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মেঘুল্লা গ্রামের যমুনা নদী থেকে আবু বক্কার সিদ্দিক (১২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মারা যাওয়া আবু বক্কার সিদ্দিক উপজেলার চালা গ্রামের শাহীন আব্দুল্লাহের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক বলেন, “আবু বক্কার সিদ্দিক গত শুক্রবার সকালে বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার নিয়ে বিকেলে তিনি বাই সাইকেলযোগে মাদরাসার জন্য বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কোথাও সন্ধান না পেয়ে গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) স্বজনরা থানায় জিডি করেন।”
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুলছাত্রী গ্রেপ্তার
এক কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ
তিনি আরো বলেন, “আজ সকালে যমুনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ঘটনাস্থল নদীতে হওয়ায় নৌ-পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।”
সিরাজগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, “মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় বেলকুচি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ র মরদ হ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’