সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক (২৬) এবং ভোমরার লহ্মীদাড়ী গ্রামের মৃত আনারউদ্দিনের ছেলে আলিমুদ্দিন (৪২)।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুনিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর ভোমরার ব্যবসায়ী আমির হামজার দুজন কর্মচারী তার ব্যবসায়িক ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ভোমরায় যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আলীপুরে কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্মচারীদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা মেহেদী হাসান মুন্না নামে ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, ডিবি পুলিশ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সদরের কাশিমপুর গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছে থাকা ছিনতাইকৃত অর্থের ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিনকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ মামলার আসামি আরাফাত আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বমোট টোল আদায় ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকে শনিবার পর্যন্ত উভয় প্রান্তের টোল প্লাজায় সর্বমোট টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ২৭৭ কোটি ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ টাকা। আর ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে শনিবার পর্যন্ত পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় পদ্মা সেতু অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ নেই। কখনও কখনও একেবারেই ফাঁকা থাকছে টোল প্লাজা। 

শনিবার পদ্মা সেতু দিয়ে ৩৬ হাজার ৯২৪ যান পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল ৮ হাজার ৭৫০টি। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০০ টাকা।

এছাড়া শনিবার পর্যন্ত ঈদযাত্রার পাঁচ দিনে পদ্মা সেতু হয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ সময়ে টোল আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ ২১ হাজার ৭০০ টাকা।

সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক আলতাফ হোসেন আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে এবার ঈদযাত্রায় চাপ অপেক্ষাকৃত কম। রোববার ভোরেও টোল প্লাজা ঘিরে যানবাহনের লম্বা লাইন ছিল। কিন্তু বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে।

টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, রাত পোহালেই ঈদ, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ী অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তাই রোববারও অস্থায়ী টোল বুথটি চালু রাখা হয়। এখন ৯টি লেনে টোল আদায় করা হচ্ছে। তবে অনেকেই গরম এবং যানজট এড়াতে সেহেরির পরপরই বেরিয়ে পড়েন। তাই সকালে কিছুটা চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর পর চাপ কমতে থাকে।

একই চিত্র দেখা গেছে জেলার অপর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রামের পথেও। রোববার সকাল থেকে এ মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ১৩ কিলোমিটারে ছিল না কোনো যানজট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ