নিজ নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু ট্রাম্পের, ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিশ্রুতি
Published: 20th, January 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের নামে ($TRUMP) ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। এই ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য দ্রুত কয়েক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। ট্রাম্পের একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও একই ঘোষণা দিয়েছেন। নিজ নামে ($MELANIA) খুলেছেন তার ক্রিপ্টোকারেন্সি।
শুক্রবার রাতে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য প্রায় ৫০৫ কোটি ডলারে পৌঁছায়।
কয়েন মার্কেট ক্যাপ ডট কমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, টোকেনটির বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১.
ট্রাম্প শুক্রবার এই ডিজিটাল টোকেনটি চালু করেন, যার ব্র্যান্ডিংয়ে রয়েছে জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া তার ওপর হামলার একটি ছবি। টোকেনের মোট সরবরাহের ৮০ ভাগ মালিকানা সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি এবং ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসির কাছে।
অন্যদিকে, মেলানিয়া ট্রাম্পও রোববার তার নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। কয়েন মার্কেট ক্যাপ জানায়, ট্রাম্পের নামে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য ৮৭০ কোটি ডলার। আর মেলানিয়ার নামে চালু করা ক্রিপ্টোকারেন্সির মোট বাজারমূল্য প্রায় ১৩০ কোটি ডলার।
এদিকে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট হবেন এবং ক্রিপ্টো সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা দূর করে ডিজিটাল সম্পদের প্রচার করতে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যা তার নির্বাচনী জয়ের পর বিটকয়েনের বাজারকে আরও ত্বরান্বিত করেছে।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার ওয়াশিংটন স্থানীয় সময় দুপুরে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এরপর ২০০টিরও বেশি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এতে সীমান্ত নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে।
তিনি মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, মাদকচক্রকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করাসহ নানা নীতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’