খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ গত ২০ ডিসেম্বর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এরপর থেকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। তবে রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, উপদেষ্টার পদ শূন্য হওয়ার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা প্রধান উপদেষ্টার অধীনে চলে যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ১৬ আগস্ট, ২৭ আগস্ট এবং ১০ নভেম্বরের প্রজ্ঞাপনের অনুবৃত্তিক্রমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট উপদ ষ ট মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ