প্রীতম হাসান ও এলিটা করিম দু’জনই সংগীতশিল্পী। ফলে তারা এক হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু তাদের সঙ্গে যদি জয়া আহসান যুক্ত হন তবে সেটি ভাবনার বিষয়। আজ (২০ জানুয়ারি) সকালে অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে এ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় দুই সঙ্গীতশিল্পী এলিটা করিম ও প্রীতম হাসানকে।

ছবিটির ক্যাপশনে জয়া লিখেছেন, ‘প্রীতম এবং এলিটার সাথে কাজ করতে পেরে খুবই এক্সাইটেড। আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই আপনাদের সঙ্গে একটি দারুণ চলচ্চিত্র শেয়ার করতে পারব।'

জয়া আহসানের এই পোস্টটি ঘিরে এরইমধ্যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে এই তারকার ভক্তদের মধ্যে। তবে কি ধরনের কাজে জয়া-এলিটা ও প্রীতম একসঙ্গে হাজির হবেন তা অনেকটা রহস্য হিসেবেই রাখা হয়েছে। জয়া তার স্ট্যাটাসে ফিল্ম শব্দটি দিয়ে ঠিক কি বুঝিয়েছেন তা কিছুই খোলাশা করেননি।

সেই একই ছবি রবিবার (১৯ জানিয়ারি) শেয়ার করেছিলেন প্রীতম। তিনিও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লিখেছিলেন, ‘এই মাসের শেষের দিকে আসতে যাচ্ছে নতুন গান। সামনের কয়েকটি দিন এলিটা করিম ও জয়া আহসানের সঙ্গে খুব রোমাঞ্চকর সময় কাটবে।’

একসঙ্গে এই তিন তারকাকে দেখে উচ্ছ্বাসিত তাদের ভক্তরাও। তাদের মতে, হয়ত দারুণ কিছু নির্মাণ হতে যাচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”

সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপমান অপদস্থের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা
  • নিশোর দাগীতে কি তৌসিফ আছেন, জানা গেল একসঙ্গে ছবির রহস্য!
  • শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস