নিজেকে কল্পনা করুন ধনী একজন মানুষ হিসেবে। আপনার কাল্পনিক সম্পদের পরিমাণ কত হবে? লাখ, কোটি, মিলিয়ন, বিলিয়ন? নিজেকে কল্পনা করুন একজন বিলিয়নিয়ার হিসেবে। এবার ভাবুন একজন বিলিয়নিয়ারের চেয়েও বড় ধনকুবেরকে- তিনি হলেন একজন ট্রিলিয়নিয়ার। আগামী দশকের মাঝেই পৃথিবীর অন্তত পাঁচজন মানুষ এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিকারি হয়ে যাবেন, হয়ে উঠবেন পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে এক দশক পর আর বিলিয়নিয়ারদের আধিপত্য থাকবে না, তাদের স্থান দখল করে নেবে ট্রিলিয়নিয়াররা, রোববারের এক প্রতিবেসনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।

কারা হতে চলেছেন প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার?
টেসলা এবং স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইলন মাস্ক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ৪৩০ মার্কিন ডলারের মালিক এই ধনকুবের আগামী পাঁচ বছরের মাঝেই হয়ে উঠতে পারেন একজন ট্রিলিয়নিয়ার। অন্যান্যদের মাঝেও রয়েছেন পরিচিত কয়েক ধনকুবের। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, মেটা সিইও মারর জাকারবার্গ- তারাও মাস্কের পর পরই হতে চলেছেন ট্রিলিয়নিয়ার। ফরাসি ফ্যাশন কোম্পানি লুই ভিটনের সিইও বার্নার্ড আর্নো এবং তার পরিবার রয়েছেন তাদের ঠিক পেছনেই। 

ফোর্বসের সংগ্রহ করা তথ্য থেকে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে অক্সফাম। দেখা গেছে, পৃথিবীর বিভিন্ন ধনকুবের এবং তাদের পরিবারের জন্য ২০২৪ সালটি একেবারে সোনায় সোহাগা অবস্থায় পার হয়েছে। এর পেছনে মার্কিন স্টক মার্কেটের আংশিক প্রভাব ছিল। এক বছরেই এসব ধনকুবেরের সম্পদ এত দ্রুত ফুলেফেঁপে উঠেছে যে অক্সফাম বলতে বাধ্য হয়েছে- আগামী দশ বছরের মাঝেই পাওয়া যাবে একজন ট্রিলিয়নিয়ারকে।

সারা বিশ্বের জন্য খুশির সংবাদ নয় এটি
একদিকে পৃথিবীর হাতেগোনা কিছু মানুষ বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারি হতে যাচ্ছেন, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যা তলিয়ে যাচ্ছেন দারিদ্র্যে- তা আসলে বিশ্বের জন্য ভালো কিছু নয়।

এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার একটি অবিশ্বাস্য পরিমাণ, বলেন অক্সফামের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রেবেকা রিডেল।

ধনসম্পত্তির এমন বিশাল বৈষম্যে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই, মনে করিয়ে দেন তিনি।

দিনে দিনে বেড়ে চলেছে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা। বর্তমানে প্রায় ২,৭৭০ মানুষের গায়ে লেগেছে বিলিয়নিয়ারের তকমা। অথচ দারিদ্র্য কমেনি বললেই চলে। ১৯৯০ সালে পৃথিবীতে যে পরিমাণ দরিদ্র মানুষ ছিলেন, এখনো তাদের সংখ্যা প্রায় তেমনই আছে, বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা যায়। 

ধনী মানুষরা পরিশ্রম করে নিজেদের এই বিশাল সম্পদ তৈরি করেছেন, এমনটাও বলা যায় না। অক্সফামের প্রতিবেদন বলে বর্তমানে বিলিয়নিয়ারদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এই বিপুল সম্পত্তি পেয়েছেন উত্তরাধিকারসূত্রে। 

টাকার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে রাজনীতি
ধনকুবেররা তাদের সম্পত্তি ব্যবহার করে রাজনীতিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন- এ ধরনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- আজকে যার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান- তার নির্বাচনী প্রচারণায় নজিরবিহীন টাকা ঢেলেছেন ইলন মাস্ক। প্রচারণায় ২৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করার ফলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ট্রাম্পের সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে বেশ টেকসই একটা আসন পেতে যাচ্ছেন মাস্ক। ফলে ধরেই নেওয়া যায় ট্রাম্পের শাসনামলে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তার প্রভাব থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ধনক ব র ন একজন পর ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো

জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৭তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। এবারের আসরে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগের পুরস্কার জিতেছেন আমেরিকান তারকা জো সালদানা। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ চলচ্চিত্রে একজন আইনজীবীর চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের সুবাদে এই স্বীকৃতি উঠেছে তাঁর হাতে।

স্প্যানিশ-ভাষার সংগীতনির্ভর ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সের জ্যাক অঁদিয়ার। অস্কারের মতো এমন অর্জন হাতে নেওয়ার পর অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী।

মঞ্চে উঠে আবেগাপ্লুত জোয়ি তাঁর মাকে স্মরণ করেন এবং ‘এমিলিয়া পেরেজ’-এর সব শিল্পী ও কলাকুশলীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি শিল্প জগতে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আমার দাদি ১৯৬১ সালে এই দেশে এসেছিলেন। আমি গর্বিত একজন অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান, যারা স্বপ্ন, সম্মানবোধ ও কঠোর পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। আমি ডোমিনিকান বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান, যে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছে। আমি জানি, আমি শেষ ব্যক্তি নই। আমি আশা করি, এই পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই চরিত্রে আমি গান গাওয়ার ও স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। যদি আমার দাদি আজ বেঁচে থাকতেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হতেন।’

তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে দিলেন যখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে কঠোর আগ্রাসন চালাচ্ছে।

চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ একাডেমি পুরস্কার তথা অস্কারের আয়োজন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে হলিউডের ডলবি থিয়েটারে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়। আয়োজনের প্রথম পুরস্কারটি পেয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা কিয়েরান কালকিন। ‘আ রিয়েল পেইন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।

অন্যদিকে, এবার সেরা অ্যানিমেশন ছবি (স্বল্পদৈর্ঘ্য) হিসেবে ‘ইন দ্য শ্যাডো অব সাইপ্রেস’, ফিচার অ্যানিমেশন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে ‘ফ্লো’। সেরা মেকআপ এবং হেয়ারস্টাইল বিভাগে পুরস্কার জিতেছে গেল বছরের অন্যতম আলোচিত ছবি ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।

সেরা অ্যাডাপ্ট চিত্রনাট্যর পুরস্কার পেয়েছে আলোচিত ছবি ‘কনক্লেভ’। এছাড়া পল ট্যাজওয়েল ‘উইকেড’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা পোশাক পরিকল্পনাকারী এবং শন বেকার ‘আনোরা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা মৌলিক চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজাদপুরে আগুনে নিহত চারজনের মরদেহ ঢামেকে
  • অনিয়মের খোঁজ নেওয়ায় সাংবাদিকের চাকরি খাওয়ার হুমকি বেরোবি কর্মকর্তা
  • ইসরায়েলে ছুরি হামলায় নিহত ১, আহত ৩
  • ভোলায় চুরির অভিযোগে একজনের দুই চোখে গুরুতর জখম, কাটা হলো দুই আঙুল
  • ৭টি মৌলিক হক
  • ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডা: পশ্চিমাদের জেগে ওঠার বার্তা
  • নদীতে ভেসে উঠল আরেকজনের লাশ, নিহত বেড়ে ৫
  • হাতে ভাজা মুড়ি, শাশুড়ির পেশাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্চনা
  • অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরে কাঁদলেন মার্কিন অভিনেত্রী
  • অস্কার মঞ্চে অভিবাসীদের অবদান তুলে ধরলেন অশ্রুসিক্ত জো