বিপিএলের মাঝপথে নেতৃত্ব বদল নতুন কিছু নয়। এবার দুর্বার রাজশাহী এনামুল হক বিজয়কে সরিয়ে দলের নতুন অধিনায়ক হিসেবে তাসকিন আহমেদের নাম ঘোষণা করেছে। রাজশাহী টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, বিজয়কে চাপমুক্ত করে ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগী হতে সহায়তা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাটিংয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার জন্য এনামুল হক বিজয়কে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে তাসকিন আহমেদ নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

চলতি আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন এনামুল। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ৩২৪ রান করে তিনি বিপিএলের শীর্ষ রান সংগ্রাহক। সর্বশেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫৭ বলে সেঞ্চুরি (১০০ রান) করেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি।  

ওই ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়কে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা যায়। তার এই চাপমুক্তি এবং আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতেই নেতৃত্বের পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।  

অন্যদিকে, তাসকিন আহমেদ এবারের আসরে দুর্দান্ত বোলিং ফর্মে আছেন। ৮ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে তিনি বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তাসকিনের অভিজ্ঞতা এবং ফর্ম কাজে লাগিয়ে রাজশাহী বাকি ম্যাচগুলোতে নিজেদের লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যেতে চায়।  

দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তাসকিন আহমেদ মাঠে ও মাঠের বাইরে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তার নেতৃত্বে রাজশাহী টুর্নামেন্টের লক্ষ্য অর্জনে সফল হবে।’

বিপিএলে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চিটাগং কিংসের মুখোমুখি হবে দুর্বার রাজশাহী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ

বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।

জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।

জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।

এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।

আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।

বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ