কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে ‘চিঠি’ লিখলেন দীপু মনি
Published: 20th, January 2025 GMT
ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ সোমবার সকাল ১০টায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের দুটি মামলায় রিমান্ড আবেদনের শুনানি চলছিল। এ সময় অন্যদের সঙ্গে আসামির কাঠগড়ার দাঁড়িয়ে ছিলেন দীপু মনি। একপর্যায়ে দীপু মনি তার বাঁ হাতে থাকা টিস্যু পেপারে কলম দিয়ে কিছু লিখতে শুরু করেন।
প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে টিস্যু পেপারের ওপর ‘চিঠি’ লেখেন দীপু মনি। কাঠগড়ার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তির হাতে চিঠিটি তুলে দেন তিনি। এরপর ওই ব্যক্তি নিজের মুঠোফোনে চিঠির ছবি তোলেন। তিনি টিস্যু পেপার তার বাঁ হাতে ভাঁজ করে রাখেন। চিঠির ছবি তোলার বিষয়টি তিনি ইশারায় দীপু মনিকে জানান।
দীপু মনি জনৈক ব্যক্তির হাতে চিঠি হস্তান্তরের পর তিনি জুনাইদ আহ্মদ এবং সালমান এফ রহমানের সঙ্গেও হাসিমুখে কথা বলেন।
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিঠি লেখার বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, এজলাসকক্ষের যেখানে দাঁড়িয়ে তিনি শুনানি করছিলেন, সেখান থেকে কাঠগড়া কিছুটা দূরে। আদালতে অনেক আইনজীবী ছিলেন। জনাকীর্ণ আদালতে দীপু মনির চিঠি লেখার বিষয়টি তার নজরে আসেনি।
দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম বলেন, দীপু মনি এ ধরনের কোনো চিঠি লিখেছেন কি না, তা তার নজরে আসেনি। কারণ, জনার্কীর্ণ আদালতে তিনি সামনের দিকে অবস্থান করছিলেন। শুনানিতে ব্যস্ত ছিলেন।
এদিকে দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ প মন
এছাড়াও পড়ুন:
নাটোরে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, অস্ত্রের মুখে নগদ টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুট
নাটোরের লালপুরে আইনজীবী সাধন কুমার দাসের (৪২) বাড়িতে মুখোশধারী ডাকাত দলের হামলায় আহত হয়েছেন পরিবারের তিন সদস্য। বুধবার রাত ১২টার পর লালপুর সদর ইউনিয়নের চকবাদেকুলপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।
ডাকাতরা বাড়ির পেছনের গেট ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে সাধন কুমার দাসের ভাতিজা রিপন কুমার দাস (৩৫) এবং রিপনের স্ত্রী সুমী রানীকে (২৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় এবং লুট করা হয় প্রায় তিন লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।
আহতদের মধ্যে সাধন কুমার দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাকাতদের হাতে ছিল রাম দা, চায়নিজ কুড়াল এবং হাঁসুয়া। তারা পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে, এরপর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দিতে অস্বীকৃতি জানালে কুপিয়ে জখম করে।
লালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান জানান, রাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে মামলা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।