Risingbd:
2025-04-24@17:27:22 GMT

শিল্পী সমিতির কমিটিতে মুক্তি

Published: 20th, January 2025 GMT

শিল্পী সমিতির কমিটিতে মুক্তি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। নির্বাহী সদস্য পদ শূন্য থাকায় তাকে মনোনীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং শেষে সভাপতি মিশা সওদাগর মুক্তিকে শপথ পাঠ করান। এ তথ্য জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও মুক্তি নিজেই। এসময় কার্যনির্বাহী পরিষদের অনেক সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, মুক্তিকে কমিটিতে পেয়ে আনন্দিত তারা।

শিল্পী সমিতির সদস্য পদে শপথ নিয়ে আনন্দিত মুক্তি বলেন, “সমিতির বাইরে থেকেও বিগত দিনে শিল্পীদের জন্য কাজ করেছি। এখন যেহেতু সমিতির সঙ্গে থেকে কাজ করার সুযোগ হলো, এটি আমার জন্য আরো ভালো হলো। কাজ করাটা আরো সহজ হবে। এই কমিটির সদস্যরা দারুণ। এ কারণে আমি আনন্দ ও গর্বের সঙ্গে শপথ নিয়েছি।”

আরো পড়ুন:

শুটিং সেটের সিলিং ভেঙে আহত অর্জুন-ভূমি

কাজের লোককে ‘ঝি’ বলা যাবে না কেন, প্রশ্ন অঞ্জন দত্তর

জানা গেছে, বেশকিছু দিন ধরে কার্যনির্বাহী সদস্য পদটি শূন্য ছিল। আরেক চিত্রনায়িকা শাহনূর পর পর ৩ মিটিংয়ের অধিক অনুপস্থিত থাকায় কার্যকরী পরিষদ তাকে কারণ দর্শানের নোটিশ দেন। তবে কোনো চিঠির উত্তর না মেলায় এবং সমিতির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে তার যোগাযোগ বিছিন্ন থাকায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদটি শূন্য হয়ে যায়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুক্তি।

এ প্রসঙ্গে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব বলেন, “বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই তার। আমরা নিয়ম অনুযায়ী শাহনূরকে কারণ দর্শানের চিঠি দেই। কিন্তু একটি চিঠিরও উত্তর পাইনি। তার অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য থাকে। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তি কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। মিটিংয়ে গঠনতন্ত্র মোতাবেক সর্বসম্মতিক্রমে ওই পদে মুক্তিকে নেওয়া হয়েছে।”

মুক্তি বলেন, “আগে থেকেই আমি সমিতির জন্য নিবেদিত ছিলাম। সমিতি সবসময় তাদের পাশে আমাকে পেয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি শিল্পীদের জন্য কিছু করতে। তবে কমিটিতে থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়। সেই ভাবনা থেকে কমিটিতে যুক্ত হয়েছি। এরই মধ্যে শিল্পীদের কথা ভেবে বেশকিছু পরিকল্পনা করেছি। শিগগিরই সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করব।”

খ্যাতিমান অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগমের মেয়ে চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি। গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ সিনেমায় চম্পার মেয়ে গোপী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মুক্তির। ‘চাঁদের আলো’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। জনপ্রিয় লেখক ও পরিচালক হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় জমিদারের নাতনির চরিত্রে অভিনয় করে মন জয় করেন দর্শকদের। এরপর চাষী নজরুল ইসলামের ‘হাসন রাজা’ সিনেমাতেও অভিনয় করেন মুক্তি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র সদস য কম ট ত র জন য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেন্দ্রীয় দুই নেতার জেলা কমিটিতে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল ঘিরে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কারণ, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি দলীয় গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন জেলার নেতাকর্মীরা।
আগামী ২৮ এপ্রিল ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাউন্সিলে ভার্চুয়ালি উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার পরই চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হবে। আসন্ন কাউন্সিলে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আইনজীবী সমিতির সভাপতি শাহাদাত হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। গত সোমবার সভাপতি পদে দলের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুবুল হক নান্নুর নাম ঘোষণায় দলের মধ্যে মতবিরোধ শুরু হয়েছে।

বিএনপির দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ (খ) ধারায় উল্লেখ আছে, জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোনো কর্মকর্তা এবং দলীয় অঙ্গদল বা সংগঠনের কোনো সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক অন্য কোনো পর্যায়ের কমিটিতে কর্মকর্তা নির্বাচিত হতে পারবেন না।
এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় পদে থেকে আসন্ন কাউন্সিলে দুই নেতার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা গঠনতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর বলেন, ‘বিষয়টি রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে। এটা তারা কীভাবে কী মনে করে ঘোষণা করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে বরিশাল বিভাগীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন মাহাবুবুল হক নান্নু। তিনি আবার কীভাবে কাউন্সিলের সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।’
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেনের ভাষ্য, সহসাংগঠনিক সম্পাদককে ৫ আগস্টের আগে দু-একটি ছাড়া দলীয় কর্মসূচিতে পাওয়া যায়নি। তাঁকে দাওয়াত দিলে বলতেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, আসা যাবে না। আবার একই সময়ে এলাকার বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত তাঁকে। এখন তাদের এ ধরনের সিদ্ধান্তে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন বলে দাবি করেন তিনি। কারণ দলীয় গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে পরিষ্কার উল্লেখ আছে। তাছাড়া তারা যাদের নিয়ে সভা করে এ ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলে ভোটাধিকার নেই। তারা বিগত দিনে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে থাকার ছবি দেখাতে পারবেন না। ৫ আগস্টের আগে কোথায় ছিলেন তারা?

বিষয়টি নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, ‘আজ (২১ এপ্রিল) বিএনপির নেতাকর্মীকে নিয়ে সভার আয়োজন করি। এতে সর্বসম্মতিক্রমে জেলা কাউন্সিলে আমাকে সভাপতি এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নুকে সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।’ সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তারা তো কাউন্সিলের ভোটার না। তাদের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় পদে থেকে প্রার্থী হতে পারেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা কমিটিতে প্রার্থী হতে বাধা নেই। গঠনতন্ত্রে এ রকম কোনো বাধা আছে বলে মনে হয় না।
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু জানান, বিগত পকেট কমিটি নিয়ে দ্বিমত আছে। অনেকেই বঞ্চিত। তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে ভোটের মাধ্যমে কাউন্সিল হবে। বিগত কমিটি একতরফা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের নিয়েই কমিটি করতে কাজ করছেন ঝালকাঠির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক হায়দার আলী লেলিন ভাই।’ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বিভাগীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হয়ে আপনি জেলা কাউন্সিলের প্রার্থী হতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘একাধিক প্রার্থী, বহুত্ববাদ থাকবেই। এটাই গণতন্ত্র। দল কোনো ব্যক্তি ইচ্ছায় চলে না। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।’
বিষয়টি জানতে যোগাযোগ করা হয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হায়দার আলী লেলিনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, বিগত কমিটিতে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই নিয়ে কিছু দ্বন্দ্ব মতবিরোধ সৃষ্টি হতেই পারে। এসব সমাধান করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল ও মাহাবুবুল হক নান্নুর কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার কোনো সংবাদ জানা নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেন্দ্রীয় দুই নেতার জেলা কমিটিতে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক