চলমান বিপিএলে অবশেষে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। টানা ছয় ম্যাচে পরাজয়ের পর সপ্তম ম্যাচে প্রথম জয় পায় তারা। সোমবার (২০ জানুয়ারি) নবম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ রানের ব্যবধানে হারিয়ে আসরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো জয়ের স্বাদ পেল লিটন দাসের দল।  

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালস ১৯৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তুলতে সক্ষম হয় সিলেট। ফলে শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে ছয়ে উঠে এসেছে দলটি।  

বড় লক্ষ্য তাড়ায় সিলেট শুরু থেকেই চাপে পড়ে। জর্জি মানজি (৩) এবং জাকির হাসান (৮) দ্রুতই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে ওপেনার রনি তালুকদার ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন। ৪৪ বলে ৬৮ রান করে থিসারার বলে বোল্ড হন তিনি।  

শেষ দিকে জাকের আলী (১৩ বলে ২৮) ও আরিফুল হক (১৩ বলে ২৯) জয়ের আশা জাগালেও সিলেট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান এবং থিসারা পেরেরার বোলিংয়ে সিলেটকে ১৯০ রানে আটকে দেয় ঢাকা। ঢাকার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ও থিসারা পেরেরা ২টি করে উইকেট নেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং মুকিদুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।  

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তানজিদ ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে বেশি সময় টিকতে পারেননি এই ওপেনার। টিপু সুলতানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ২২ রান।  

সপ্তম ওভারের শুরুতেই জেপি কোটজে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু এরপরও সুবিধা করতে পারেননি। দুই বল পরই সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নামিবিয়ার এই ব্যাটার টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮ ও ৯ রান।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত রান। শিনওয়ারির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ফুলটসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে শট খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মোসাদ্দেক। দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা।  এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ঢাকার ইনিংস। ১৪তম ওভারে ঢাকার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে একশ’ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন লিটন। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুমন খানের লেন্থ বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৫ তম ওভারে ফিরে যান সাব্বিরও। ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি। 

পঞ্চম উইকেটে থিসারাকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি তিনি। ৪৮ বলে ৭০ রান করে রুয়েল মিয়ার শিকার হয়েছেন। একটু পর গেছেন থিসারাও। ১৭ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন। এরপর ফারমানউল্লাহ শাফি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ মিলে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ন ল টন র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ছিনতাইকারীর কবলে অভিনেতা, দিলেন ঘটনার বিবরণ

শুটিং শেষে ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়লেন অভিনেতা হারুন রশিদ (বান্টি)। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই।

সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে হারুন রশিদ লেখেন, কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের ওপর দিয়া যায় নাই টাকার ওপর দিয়ে গেছে।

টাকা-পয়সা নিলেও ছিনতাইকারীরা মোবাইল নেননি এই অভিনেতার। তার ভাষ্য, নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে হারুন রশিদ জানান, ৩০০ ফিট থেকে কমলাপুর যাওয়ার জন্য কাঞ্চন ব্রিজ থেকে একটা সিএনজিতে উঠেছিলেন তিনি। পাঁচ মিনিট যাওয়ার পরই অন্ধকারাচ্ছন্ন এক জায়গায় গাড়ির স্টার্টজনিত সমস্যার কথা বলে দাঁড়িয়ে যায় ড্রাইভার। এরপরই কয়েক ছিনতাইকারী এসে ঘিরে ধরে অভিনেতাকে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।

অভিনেতা বলেন, ওদের হাতে চাপাতি ছিল। সে কারণে ওরা বলার সঙ্গে সঙ্গে মানিব্যাগ, মোবাইল দিয়ে দিই। সঙ্গে ব্যাগ ছিল। খুব স্মার্ট ছেলেপেলে। বলছিল, ব্যাগে জামা কাপড় ছাড়া কিছু নাই। অন্য এক ছেলে বলছিল উনি তো অভিনয় করেন। ওনার মোবাইলটা নিস না। নিলে আমরা ঝামেলায় পড়ব। টাকাগুলো নিয়ে ওনাকে বিদায় কর। আমাকে শুনিয়েই কথাগুলো বলছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাজটি হয়ে গেল। এরপর ওরা বাম দিকের রোড দিয়ে ঝড়ের বেগে চলে গেল।  

হারুন রশিদ বলেন, এরপর আমি নির্বাক হয়ে ফুটপাতে বসে রইলাম। অনেক গাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু হাত নাড়া সত্ত্বেও থামছিল না। পরে একটি বাইক থামে। ঘটনা খুলে বললে তিনি আমাকে পৌঁছে দেন।

প্রসঙ্গত, দেশের নাট্যাঙ্গনে এক নামে পরিচিত হারুন রশিদ। সবাই তাকে বান্টি ভাই বলেই অভিহিত করেন। তবে তার পুরো নাম হারুন রশীদ বান্টি। ২০১৪ সালে আশিকুর রহমানের ‘মুসাফির’ সিনেমায় অভিনয় করার পর থেকে তিনি বান্টি নামেই পরিচিত হতে লাগলেন। এই সিনেমাতে অভিনয়ই তার জীবনের প্রথম অভিনয়। এরপর আরও বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।  

বর্তমানে নাটকে নিয়মিত অভিনয় করেছেন হারুর রশিদ। বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। অভিনয়ে দিন দিন ব্যস্ত হয়ে উঠার কারণে ২০২০ সালে চাকুরি ছেড়ে পুরোদমে অভিনয়েই ব্যস্ত হয়ে উঠেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় সালিস বসালেন বিএনপি নেতা
  • মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু
  • মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর আ.লীগ করব না: কাঠগড়ায় কামাল মজুমদার
  • আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর আ.লীগের রাজনীতি করব না: কাঠগড়ায় কামাল মজুমদার
  • শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই: এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস
  • সোসিয়েদাদকে উড়িয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল বার্সেলোনা
  • বিজয়ের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার রসায়ন, যা বললেন মধু চোপড়া
  • উচ্চশিক্ষায় বেছে নিতে পারেন ডেনমার্ক
  • কিউইদের ২৫০ রানের লক্ষ্য দিল ভারত  
  • ছিনতাইকারীর কবলে অভিনেতা, দিলেন ঘটনার বিবরণ