মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মদি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবক শাওন মাতুব্বরের (২২) মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।  মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

নিহত শাওন সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মদি গ্রামের জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

ঝিনাইদহে গ্রেনেড সদৃশ বস্তু উদ্ধার

নির্বাচন অফিসের পেছন থেকে ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মদি গ্রামের হায়াত ধুলকির সঙ্গে একই এলাকার সজীব হাওলাদারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময়
কয়েকটি বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বোমার আঘাতে শাওন মাতুব্বর নামে এক যুবকের পা উড়ে যায়। সংঘর্ষে আহত হন আরো ৯ জন। গুরুতর অবস্থায় শাওনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় জেলা সদর হাসপাতালে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যান।

মাদারীপুর সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন একজন মারা গেছেন। এখনো নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সম্মেলন বাতিল চেয়ে বিএনপির একাংশের বিক্ষোভ মিছিল

হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন বাতিল চেয়ে দলের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। শুক্রবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে গোবিন্দপুর বাজারে সমাবেশ হয়। 

সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজ উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবিএম জহির উদ্দিন সোহেল, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আব্দুস সাত্তার, নূরে আলম এরশাদ প্রমুখ। রোববার গোবিন্দপুর বাজারে সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

বক্তারা বলেন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেল ও তাঁর সহযোগীরা নিজেদের লোক নিয়ে সাজানো সম্মেলন করতে চাচ্ছেন। এটা দলের নেতাকর্মীরা মানে না। আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে করা কাউন্সিলের চিন্তা বাদ দিয়ে নির্যাতিত ত্যাগী নেতাকর্মীকে স্থান দিতে হবে। 

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম হিমেল বলেন, সম্মেলনের আয়োজন করেছে বিএনপি। মিছিল করেছে যুবদল। তাদের কোনো সাংগঠনিক এখতিয়ার নেই সম্মেলনের বিরুদ্ধে মিছিল করার। 

এ প্রসঙ্গে সিরাজ উদ্দিনের ভাষ্য, কথাটা ঠিক নয়। ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলামসহ একাধিক বিএনপি নেতা মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা বক্তব্যও দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। 

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম মবিনকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাদের ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ