বিজিবি পাচ্ছে টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেড
Published: 20th, January 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির জন্য টিয়ারগ্যাস শেল (কাঁদানে গ্যাস) ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনা হচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সীমান্তে সব সময় লেথাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) দেওয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবির কাছে নেই। তাদের কাছে লেথাল, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি।’’
‘‘বিজিবির কাছে এগুলো নেই, তাহলে তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে? এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি, তাদের জন্য এসব জিনিস কেনা হবে।’’
পড়ুন: বদলে যাচ্ছে পুলিশ-র্যাব-আনসারের পোশাক
সীমান্তে এখন পরিস্থিতি কেমন— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।’’
দেশে অবৈধ বিদেশি ৩৩৬৪৮ জন
দেশে এখনো ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন অবৈধ বিদেশি বসবাস করছেন— এমন তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘‘এসব অবৈধ বিদেশির বিরুদ্ধে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা একটা সার্কুলার দিয়েছিলাম, আমাদের দেশে অনেক বিদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অফিসিয়ালি সংখ্যাটা ছিল ৪৯ হাজার ২২৬ জন। এটা এখন কমে হয়েছে ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন। আগামী ৩১ জানুয়ারি তাদের (বৈধ হওয়ার) সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। তাদের মাধ্যমে (অবৈধ বিদেশিদের বৈধ হওয়ার মাধ্যমে) ১০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা রেভিনিউ আয় হয়েছে।’’
‘‘অনেকে (অবৈধ বিদেশি) চলে যাচ্ছেন। যারা অবৈধভাবে আছে, আগামী ৩১ জানুয়ারির পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব’’— বলেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘যারা তাদের (অবৈধ বিদেশি) কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, বিদেশিদের কাজ দিতে হলে একটা অনুমতি নিতে হয়। যদি তারা অনুমতি না নিয়ে থাকেন, যে সংস্থা তাদের কাজ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’