চার বছরের জন্য পুনরায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ৭৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ব্যবসায়ী টানা পঞ্চমবার এবং সামগ্রিকভাবে ষষ্ঠবারের মতো ক্লাবটির সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন। আগের মতো এবারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। পেরেজ ২০২৯ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে থাকবেন।  

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ও লাস পালমাসের ম্যাচ শেষে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকায় ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকেই রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

২০০০ সালে প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পেরেজ। ২০০৬ সালে পদত্যাগ করলেও ২০০৯ সালে আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর থেকে তিনি ক্লাবটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।  

পেরেজের নেতৃত্বে রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল ও বাস্কেটবল দল দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। তার দুই দফার পাঁচ মেয়াদে ক্লাবটি জিতেছে ৬৫টি শিরোপা, যার মধ্যে আছে ৭টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ৩টি ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ