চার বছরের জন্য পুনরায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ৭৭ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ব্যবসায়ী টানা পঞ্চমবার এবং সামগ্রিকভাবে ষষ্ঠবারের মতো ক্লাবটির সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন। আগের মতো এবারও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই তিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন। পেরেজ ২০২৯ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে থাকবেন।  

লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদ ও লাস পালমাসের ম্যাচ শেষে ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে একজন প্রার্থী থাকায় ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকেই রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে।

২০০০ সালে প্রথমবার রিয়াল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পেরেজ। ২০০৬ সালে পদত্যাগ করলেও ২০০৯ সালে আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এরপর থেকে তিনি ক্লাবটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।  

পেরেজের নেতৃত্বে রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবল ও বাস্কেটবল দল দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। তার দুই দফার পাঁচ মেয়াদে ক্লাবটি জিতেছে ৬৫টি শিরোপা, যার মধ্যে আছে ৭টি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ৩টি ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ