সেঞ্চুরি করেও বিজয়ের কন্ঠে আফসোসের সুর
Published: 20th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করেও রাজশাহীকে জেতাতে না পেরে হতাশা লুকাতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। খুলনা টাইগার্সের কাছে ৭ রানে হারার পর চোখের জল সামলে সংবাদ সম্মেলনে নিজের মনের কথা বলেছেন রাজশাহীর অধিনায়ক।
খুলনার দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে শেষ বলে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ৯ রান। বিজয় সিঙ্গেল নিয়ে পূর্ণ করেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ৫৭ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার মারে ১০০ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে বিজয়ের কণ্ঠে ঝরল হতাশার সুর। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আবেগাপ্লুত বিজয় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ম্যাচটা জিততে পারলে অন্য রকম তৃপ্তি লাগত। এমন ম্যাচ জেতানো ব্যাটারের কাছে স্বপ্নের মতো ব্যাপার।’
বিজয় আরও তুলে ধরেন বিদেশি লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগের অভাবের কথা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা বাইরের লিগে খেলার সুযোগ পায় না। আফগানিস্তানের জাতীয় দলে না খেলা ক্রিকেটাররাও আইপিএল, বিগ ব্যাশ খেলছে। তারা বড় ক্রিকেটারে পরিণত হচ্ছে। আমাদের মধ্যেও সেই মানের ক্রিকেটার রয়েছে। এমন ম্যাচে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ দরকার।’
৩২৪ রান করে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হলেও রাজশাহী দল পয়েন্ট তালিকার সেরা চারের বাইরে। দলের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে বিজয় বলেন, ‘প্রতিভার চেয়ে ধারাবাহিক পারফর্মার খুবই জরুরি। ছোট ইনিংস বড় করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলেই তারা বড় ক্রিকেটার হয়ে উঠবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
বাসচাপায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৩ জনের
সিরাজগঞ্জের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের তিন অটোরিকশা যাত্রী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর সদর উপজেলার মুলীবাড়ী চেকপোস্ট এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
যমুনা সেতু পশ্চিমপাড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম সমকালকে জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মুলিবাড়ি চেকপোস্ট এলাকায় সন্ধ্যার পর ৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যান।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পুর্ব-বাঐতারা গ্রামের গোলাম হোসেনের স্ত্রী মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী সুমনা খাতুন (৩৮) এবং শফিকুল ইসলামের বোন লাকী খাতুন (২২)। শফিকুল ও তার স্ত্রীর মরদেহ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আর শফিকুলের বোন লাকীর মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বাসটিকে ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে এগারোটা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।