লিটন-সাব্বির-থিসারায় ঢাকা ক্যাপিটালসের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উেইকেটে ১৯৬ রান। এই রানে আসরের দ্বিতীয় জয়ের সান্ত্বনা পায় কি না শাকিব খানের দলটি- সেটিই এখন দেখার বিষয়।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তানজিদ ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে বেশি সময় টিকতে পারেননি এই ওপেনার। টিপু সুলতানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ২২ রান।  

সপ্তম ওভারের শুরুতেই জেপি কোটজে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু এরপরও সুবিধা করতে পারেননি। দুই বল পরই সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নামিবিয়ার এই ব্যাটার টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮ ও ৯ রান।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত রান। শিনওয়ারির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ফুলটসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে শট খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মোসাদ্দেক। দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা।  এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ঢাকার ইনিংস। ১৪তম ওভারে ঢাকার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে একশ’ রান।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন লিটন। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুমন খানের লেন্থ বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৫ তম ওভারে ফিরে যান সাব্বিরও। ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি। 

পঞ্চম উইকেটে থিসারাকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি তিনি। ৪৮ বলে ৭০ রান করে রুয়েল মিয়ার শিকার হয়েছেন। একটু পর গেছেন থিসারাও। ১৭ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন। এরপর ফারমানউল্লাহ শাফি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ মিলে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে।

এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে ঢাকা। ৭ দলের টুর্নামেন্টে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে শাকিব খানের দল। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে সিলেটের জয় ২টিতে, পয়েন্ট ৪। টেবিলে তাদের অবস্থান ঢাকার এক ধাপ আগে (ষষ্ঠ স্থানে)।

সিলেট স্ট্রাইকার্স: আরিফুল হক, জর্জ মুনসে, আল-আমিন হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, সুমন খান, রুয়েল মিয়া, সামিউল্লাহ শেনওয়ার, অ্যারোন জোন্স ও টিপু সুলতান।

ঢাকা ক্যাপিটালস: লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জেপি কোর্টজে, মোস্তাফিজুর রহমান, থিসারা পেরেরা, আবু জায়েদ রাহী, সাব্বির রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ফারমানউল্লাহ শাফি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ল টন দ স স ব ব র রহম ন র ন কর ন ল টন

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত

চলতি বছর ঘরের মাঠে ভারতের সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)। সূচিতে দেখা গেছে ২০২৫ সালে নিজেদের মাঠে ভারত চারটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে।

আইপিএল শেষে ভারত পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফরে যাবে। এরপর ভারত ঘরের মাঠে আতিথ্য দিবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এবং সেটা অক্টোবর ও নভেম্বরে।

২ অক্টোবর আহমেদাবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায় ১৪ অক্টোবর থেকে।

আরো পড়ুন:

কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, ভারতজুড়ে ঈদ উদযাপন

ফাঁস হওয়া ভিডিও নিয়ে যা বললেন অভিনেত্রী

এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দিবে ভারত। সেখানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তারা টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের টেস্ট সিরিজে গৌহাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

১৪ নভেম্বর দিল্লিতে শুরু হবে ভারত-দ. আফ্রিকার প্রথম টেস্ট। এরপর ২২ নভেম্বর গৌহাটিতে হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রাঁচি, রায়পুর ও ভিজাগে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। আর ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে কুটাক, চন্ডিগড়, ধর্মশালা, লক্ষ্ণৌ ও আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

:: ২০২৫ সালে ভারতের ঘরের মাঠে ক্রিকেট সূচি ::

ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ (টেস্ট সিরিজ):
প্রথম টেস্ট: ২ অক্টোবর - ৬ অক্টোবর, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমদাবাদ ।
দ্বিতীয় টেস্ট: ১০ অক্টোবর - ১৪ অক্টোবর, ইডেন গার্ডেন্স, কলকাতা।

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (টেস্ট সিরিজ):
প্রথম টেস্ট:
১৪ নভেম্বর - ১৮ নভেম্বর, অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, নয়াদিল্লি।  
দ্বিতীয় টেস্ট: ২২ নভেম্বর - ২৬ নভেম্বর, বারসাপারা স্টেডিয়াম, গৌহাটি।  

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (ওয়ানডে সিরিজ):
প্রথম ওয়ানডে:
৩০ নভেম্বর, জেএসসিএ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স, রাঁচি।
দ্বিতীয় ওয়ানডে: ৩ ডিসেম্বর, শহীদ বীর নারায়ণ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রায়পুর।তৃতীয় ওয়ানডে: ৬ ডিসেম্বর, ডক্টর ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশাখাপত্তনম।

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (টি-টোয়েন্টি সিরিজ):
প্রথম টি-টোয়েন্টি:
৯ ডিসেম্বর, বরাবাটি স্টেডিয়াম, কটক।  
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: ১১ ডিসেম্বর, পিসিএ নিউ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউ চণ্ডীগড়।তৃতীয় টি-টোয়েন্টি: ১৪ ডিসেম্বর, এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা ।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টি: ১৭ ডিসেম্বর, ব্রিএসএবিভি একানা স্টেডিয়াম, লক্ষ্ণৌ।
পঞ্চম টি-টোয়েন্টি: ১৯ ডিসেম্বর, নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমদাবাদ।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত
  • বন্দরে পঞ্চায়েত কমিটির দ্বন্দ্বে ঈদগায় হলনা ঈদ জামাত  
  • চলন্ত গাড়ি থামিয়ে নারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, অভিযোগ শুনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন
  • শুধু মা-বাবার নামটুকু বলতে পারছে আহত শিশু আরাধ্য
  • ঈদের রাতে নৈশ প্রহরীকে গুলি করে হত্যা
  • অভিষিক্ত অশ্বিনীর বলে, রায়ানের ব্যাটে মুম্বাইর প্রথম জয়
  • ‘নতুন মেসি’দের কার কী হাল
  • ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় ফিরে ত্বকের যত্নে করণীয়
  • পানির বোতল কত দিন পরপর পরিষ্কার উচিত
  • হল্যান্ডের ইনজুরিতে ম্লান সিটির সেমিতে ওঠার আনন্দ