লিটনের অর্ধশতক, থিসারার ঝোড়ো ইনিংসে ঢাকার বড় পুঁজি
Published: 20th, January 2025 GMT
লিটন-সাব্বির-থিসারায় ঢাকা ক্যাপিটালসের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উেইকেটে ১৯৬ রান। এই রানে আসরের দ্বিতীয় জয়ের সান্ত্বনা পায় কি না শাকিব খানের দলটি- সেটিই এখন দেখার বিষয়।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। বিশেষ করে তানজিদ ছিলেন আক্রমণাত্মক। তবে বেশি সময় টিকতে পারেননি এই ওপেনার। টিপু সুলতানের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে লং অনে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১৬ বলে করেন ২২ রান।
সপ্তম ওভারের শুরুতেই জেপি কোটজে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েন সামিউল্লাহ শিনওয়ারির বলে। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। কিন্তু এরপরও সুবিধা করতে পারেননি। দুই বল পরই সুইপ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নামিবিয়ার এই ব্যাটার টুর্নামেন্টের দুই ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮ ও ৯ রান।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকেও আসেনি প্রত্যাশিত রান। শিনওয়ারির অফ স্টাম্প ঘেঁষা ফুলটসে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে শট খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান মোসাদ্দেক। দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। তাদের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে ঢাকার ইনিংস। ১৪তম ওভারে ঢাকার স্কোর ছুঁয়ে ফেলে একশ’ রান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন লিটন। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুমন খানের লেন্থ বল মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৫ তম ওভারে ফিরে যান সাব্বিরও। ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি।
পঞ্চম উইকেটে থিসারাকে নিয়ে এগোতে থাকেন লিটন। যদিও শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি তিনি। ৪৮ বলে ৭০ রান করে রুয়েল মিয়ার শিকার হয়েছেন। একটু পর গেছেন থিসারাও। ১৭ বলে ৩৭ রান করে ফেরেন। এরপর ফারমানউল্লাহ শাফি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ মিলে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে।
এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছে ঢাকা। ৭ দলের টুর্নামেন্টে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে শাকিব খানের দল। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে সিলেটের জয় ২টিতে, পয়েন্ট ৪। টেবিলে তাদের অবস্থান ঢাকার এক ধাপ আগে (ষষ্ঠ স্থানে)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: আরিফুল হক, জর্জ মুনসে, আল-আমিন হোসেন, রনি তালুকদার, জাকির হাসান, জাকের আলী অনিক, সুমন খান, রুয়েল মিয়া, সামিউল্লাহ শেনওয়ার, অ্যারোন জোন্স ও টিপু সুলতান।
ঢাকা ক্যাপিটালস: লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, জেপি কোর্টজে, মোস্তাফিজুর রহমান, থিসারা পেরেরা, আবু জায়েদ রাহী, সাব্বির রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও ফারমানউল্লাহ শাফি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল ল টন দ স স ব ব র রহম ন র ন কর ন ল টন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি আনার হত্যার প্রতিবেদন ফের পেছাল
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৭ মে ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা এদিন প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ আজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা হলেন, সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া, সিলিস্তি রহমান, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী। তাদের মধ্যে মিন্টু ছাড়া ছয়জনই দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ২০২৪ সালের ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এ সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
এ ঘটনায় একই বছরের ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির ছোট মেয়ে ডরিন উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। এরপর ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল- আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমি অমিত শাহের কাছে যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো।