পরোটা কিনতে ডিজিটাল পেমেন্ট করে ধারা পড়ে সাইফের ওপর হামলাকারী
Published: 20th, January 2025 GMT
সকালের নাস্তা করতে পরোটা কিনে ডিজিটাল পেমেন্টে করতে গিয়েই ধার পড়ে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে হামলাকারী মো. শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে রোববার তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
সোমবার সকালে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনে লেনদেনের মাধ্যমে একটি পরোটা কেনার জন্য অর্থ প্রদান করে শেহজাদ। সেই সূত্র ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল।
শেহজাদ হোটেল থেকে পরোটা কিনেছেন সেখানেই একসময় কাজ করতেন যেখানে তিনি। তার কঠোর পরিশ্রমের জন্য তিনি সেখানে প্রশংসাও পেয়েছিলেন। পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি শেহজাদকে কাজ দিয়েছিলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে জানিয়েছে পুলিশ।
১৫ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপরে হামলা হয়। অভিযুক্ত তাকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার কোপ মারে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বলিউড নবাবকে। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয় বলিউডে।
সাইফ আলি খানের উপর হওয়া হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজদকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বান্দ্রা আদালতের বিচারক। রোববার ভোরে ঠাণে জেলা থেকে গ্রেফতার করার পর আদালতে তোলে মুম্বাই পুলিশ। সূত্র: এনডিটিভি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।