অস্ত্র মামলায় খালাস গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
Published: 20th, January 2025 GMT
বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অস্ত্র মামলায় খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ২০০৭ সালের জুলাই মাসে মামুনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ও বাতিল করেছেন উচ্চ আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামুনের আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ২৬ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়া গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গত বছরের ৬ আগস্ট মুক্তি পাওয়ার পর চারটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন।
আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফ্যাসিস্ট বিচারপতি’দের অপসারণ দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সমাবেশ
‘ফ্যাসিস্ট বিচারপতি’দের অপসারণের দাবিতে সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আজ সোমবার দুপুরে এই সমাবেশ হয়।
‘ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণ দাবিতে আইনজীবী সমাবেশ’: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সুপ্রিম কোর্ট—ব্যানারে ওই সমাবেশ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, হাইকোর্টের যাঁরা বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি ছাড়া করেছিলেন, দীর্ঘদিন আটকে রেখে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, আপনারা এখনো কীভাবে বসে আছেন? আমরা তো চিন্তা করেছিলাম, এই যে ফ্যাসিস্টের দোসররা পালিয়েছে, সেই সঙ্গে আপনারাও চলে যাবেন; কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আপনারা এখনো যাননি। আপনাদের জন্য আবার আইনজীবী ফোরামকে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজেরা নিজে থেকে পদত্যাগ করে চলে যান।’
ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা একদিনে ফ্যাসিস্টে পরিণত হননি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ তাকে ফ্যাসিস্টে পরিণত করতে কাজ করেছে প্রত্যক্ষভাবে। অনেক বিচারপতি নির্লজ্জভাবে দলীয় মতাদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রেজিমকে প্রলম্বিত করার জন্য স্বেচ্ছায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়, তাকে কারাগারে প্রেরণ সব কিছু ছিল শেখ হাসিনার নির্দেশে, কিছু কিছু বিচারক সে কাজটা করেছিলেন।’
ফ্যাসিস্ট হাসিনা ৫ আগস্ট পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন উল্লেখ করে কায়সার কামাল বলেন, ‘আজ এপ্রিল মাস শেষের পথে। আমরা আশা করেছিলাম, ধারণা করেছিলাম, সেসব বিচারক—যাঁরা নিজেরাও জানেন শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমকে প্রলম্বিত করার জন্য দিনে–রাতে মেধা–মনন দিয়ে পরিশ্রম করেছেন, কোনো কোনো বিচারক স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়াকে তাদের রায়ে ডাকাত বলে সম্বোধন করেছিলেন, আমরা বলেছিলাম বিবেকের তাড়নায় স্বেচ্ছায় এই পবিত্র অঙ্গন থেকে তারা চলে যাবেন। দুঃখনজক হলেও সত্য তারা এখনো বাড়িতে যাননি; বরং কিছু কিছু বিচারক আরও প্রমোশনের আশায় বহাল তবিয়তে আছেন। অনতিবিলম্বে তাদের ব্যাপারে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদলের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মো. রুহুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম এবং সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জামিল আক্তার এলাহী ও মাহমুদুল আরেফিন বক্তব্য দেন। সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক মনির হোসেন, ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক মনিরুজ্জামান আসাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আল মামুন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মো. মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।