গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে কারখানার স্যাম্পল রুমে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন– স্যাম্পল সুপারভাইজার রইস উদ্দিন (২৮), সুজন মিয়া (২৬), রহিজ উদ্দিন (২৭), শুক্কুর (৩০), ইয়াসিন আলী (২০), শাহজাহান (২৪), সোনিয়া (২৩), সারজিনা (২৫), কুলসুম (২৭), আমেনা (২৯), লিমা (২৯), রইস উদ্দিন (২৬), ইকবাল হোসেন (৩০), রনি (২৩) এবং আরিফুল ইসলাম (২৪)।

আহতদের মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, গুরুতর আহত ইয়াসিন আলীকে স্বজনেরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

আহত সুইং রিসিভম্যান শাহজাহান বলেন, ‘‘কারখানার উৎপাদন শেডের প্রবেশ ফটকের পাশে মিনি বয়লারের অবস্থান। সকাল ৯টার দিকে স্যাম্পল বিভাগের মিনি বয়লারে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণে পুরো কক্ষের জানালার কাচ, আসবাবপত্র, ফ্যান, লাইট ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাচের আঘাতে এবং দৌড়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।’’

কারখানার শ্রমিক তাইজ উদ্দিন বলেন, ‘‘সকালে কাজ করছিলাম। হঠাৎ স্যাম্পল সেকশনে বিকট শব্দ পাই। পরে শুনি বিস্ফোরণ হয়েছে। কারখানার উপরের টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে উড়ে গেছে। ভাঙা কাচের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’’

আল হেরা হাসপাতালের চিকিৎসক আলিম বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে কয়েকজনকে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে, তেমন বড় ধরনের আঘাত পাননি তারা।’’

কারখানার ইলেকট্রিক ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ‘‘সকাল ৮টার দিকে স্যাম্পল রুমের মিনি বয়লারের সুইচ অন করেন অপারেটর। মেশিন পানি না নেওয়ায় বয়লার হিট হয়ে স্টিম বিস্ফোরণ ঘটে।’’

এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ইমতিয়াজ আলম বলেন, ‘‘বয়লার বিস্ফোরণে ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন। কারখানার পক্ষ থেকে প্রত্যেকের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’’

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘‘এইচডিএফ অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা বয়লার বিস্ফোরণে কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। থানা পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।’’

ঢাকা/রফিক/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

পিএইচডির এক জন শিক্ষার্থী মদ বা মাদক সেবন করিয়ে ১০ নারীকে ধর্ষণ করেছিল। শুধু তা-ই নয়, ‘স্মৃতিচিহ্ন’ হিসেবে তার ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেছিল সে। যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

২৭ বছর বয়সী চীনা নাগরিক ঝেনহাও জুকে ‘শিকারী, যৌনকর্মী এবং ধর্ষক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে মামলার অভিযোগে। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, জু ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে আসেন এবং প্রথমে বেলফাস্টের কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ২০১৯ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির পর পিএইচডি ডিগ্রির জন্য অধ্যয়ন করছিলেন। 

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২০২৩ সালে লন্ডনের পুলিশের সাথে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন এক নারী। তিনি “ফোনে, তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তাকে মদ পান করানোর পর পুরুষটি আটকে রেখেছিল। পুরুষটি তাকে প্রচুর মদ্যপান করাতে বাধ্য করেছিল এবং তারপর তাকে ধর্ষণ করেছিল।

পরে এই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জু-এর নাম উল্লেখ করে পোস্ট করেন। তার এই পোস্ট দেখে আরেক নারী যোগাযোগ করেন এবং জানান ‘তারও একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

জু-এর বিরুদ্ধে ১০ জন নারীর বিরুদ্ধে ১১টি ধর্ষণের অভিযোগ, তিনটি যৌনকর্মের অভিযোগ, ১২টি পর্নোগ্রাফিক ছবি রাখার অভিযোগ, একটি মিথ্যা কারাদণ্ডের অভিযোগ এবং আটটি মাদক সরবরাহের উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রিত মাদক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।

জু সম্পর্কে প্রসিকিউটর ক্যাথেরিন ফ্যারেলি কেসি বলেন, “বাইরের মানুষের কাছে, তিনি নিঃসন্দেহে একজন বুদ্ধিমান এবং মনোমুগ্ধকর যুবক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। প্রসিকিউশন বলছে যে সে একজন অবিরাম যৌন শিকারী; একজন যৌনকর্মী এবং একজন ধর্ষক।”
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পিএইচডি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ১০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ