বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফের ওপরে হামলা হয়। অভিযুক্ত তাকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার কোপ মারে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় বলিউড নবাবকে। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয় বলিউডে। 

কেনো হামলার শিকার হলেন বলিউড নবাব। কে তাঁকে আক্রমণ করেন? একাধিক প্রশ্ন সামনে আসে। পরে মুম্বাই পুলিশ যা জানায় তাতে এটা যে নিছক চুরির ঘটনা সেটাই সামনে আসে। পুলিশের বক্তব্যে উঠে এসেছে মূল অভিযুক্ত নাকি জানতেনই না কাদের বাড়িতে ‘সিঁদ কাটতে’ চলেছেন তিনি। নিতে পারেনি কছুই। চুরেরও হয়নি শেষরক্ষা। ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। 

সাইফ আলি খানের উপর হওয়া হামলার ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বান্দ্রা আদালতের বিচারক। রোববার ভোরে তাঁকে ঠাণে থেকে গ্রেফতার করার পর আদালতে তোলে মুম্বাই পুলিশ।

এর আগে বুধবার গভীর রাতে সাইফ ও কারিনা কাপুরের অভিজাত বান্দ্রা এলাকার আবাসনে হানা দেন শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদ। কিন্তু চুরিতে বাধা পেয়ে গৃহকর্তাকেই আক্রমণ করে বসেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন-চার বার কুপ দেন তিনি। এ ঘটনায় তিন ধরে শরীরে ছ’টি মারাত্মক জখম নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফ।

পুলিশ জানায়, অকুস্থল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ঠাণে জেলার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি আদতে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকতে পারেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, তিনি আইনি নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছেন। এ দেশে গত পাঁচ-ছ’মাস ধরে নাম বদলে বদলে নানা জায়গায় কাজের সন্ধান করে বেড়াচ্ছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডিসিপি দীক্ষিত গেদম ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করেছেন কাজের অভাবেই চুরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। প্রথম রাতেই ঢুকেছিলেন সাইফের ঘরে। কিন্তু জানতেন না কার বাড়ি চুরি করতে যাচ্ছেন।

শরিফুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, সে রাতে গৃহকর্তাকে আঘাত করে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে টিভি দেখে বুঝতে পারেন, বিষয়টি বড় আকার ধারণ করতে চলেছে। সেই মুহূর্তেই এ দিক-সে দিক ঘুরে পার্শ্ববর্তী ঠাণে এলাকায় গিয়ে শ্রমিক বসতিতে আশ্রয় নেন। বন্ধ করে দেন নিজের মোবাইল ফোনটি। কিন্তু  লোকেশন দেখে পুলিশ সহজেই পৌঁছে যায় ঠাণের শ্রমিক মহল্লায়। ঠাণের এক নির্জন এলাকায়, ম্যানগ্রোভ ঝোপে আশ্রয় নিয়েছিলেন শরিফুল।

এর আগে অবশ্য মুম্বাই সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় তাঁকে দেখা গিয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে চিরুনিতল্লাশি শুরু করে। মোট ৩০টি দল এই কাজে নামে। শতাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে বোঝা যায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন শরিফুল। পুলিশের দাবি, প্রথমে তাঁকে দাদর এলাকার একটি দোকানের সামনে দেখা যায়। জানা যায়, একটি হেডফোন কিনেছেন তিনি। এর পর আন্ধেরির ডিএন নগর এলাকার একটি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় একটি মোটরবাইক থেকে নামছেন ওই সন্দেহভাজন। ঠাণে পৌঁছে পুলিশ চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অভিযুক্তকে। তার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল

অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।

তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ঢাকা/সৌরভ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ