বিচার বিভাগের ইম্প্রুভমেন্ট আমার করা : আদালতকে আনিসুল হক
Published: 20th, January 2025 GMT
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে তা তিনিই করেছেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানিকালে তিনি এ দাবি করেন।
এদিন আনিসুল হকের উপস্থিতিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য ছিলো। এদিন সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় এজলাসে থাকা আসামির ডকে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন আনিসুল হক। অন্যান্য মামলার শুনানি চলায় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর বিচারক তাকে ডকে থাকা বেঞ্চে বসতে বলেন। এরপর তার গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলার বিস্তারিত আদালতের সামনে তুলে ধরেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি করেন।
এক পর্যায়ে বিচারক সাবেক এই মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিচার বিভাগের দৈন্যদশা তুলে ধরেন। এসময় তিনি মামলা জটের চিত্র তুলে ধরেন। বিচারক বলেন, “ঢাকায় লক্ষাধিক এনআই অ্যাক্ট মামলা পরিচালনা করার জন্য মাত্র সাতটি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রয়েছে, যা মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য অপ্রতুল। অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারককে টিনসেড বিল্ডিংয়ে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে হয়। গত ১৫ বছরে বিচার বিভাগের তেমন কোনো সংস্কার হয়নি।”
এসময় আনিসুল হক আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, “আমি আইনমন্ত্রী থাকাবস্থায় প্রতি বছর লোকবল নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন দিতাম। আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য মাত্র ১৩ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ ছিলো। বিচার বিভাগের যত ইম্প্রুভমেন্ট হয়েছে তা আমার করা। তবে আমার একটাই দুঃখ, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জন্য আলাদা একটি ভবন করতে পারিনি। ইনশাআল্লাহ, সামনে ভবন নির্মিত হবে। এই সংকট আমরা কাটিয়ে উঠবো।”
এরপর বিচারক আবারও বলেন, “সব কথা তো বলা যায় না। একটা টিভি সেন্টারের জন্য যে বাজেট সেই বাজেটও এই মন্ত্রণালয় পায়না। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাজ তেমন আগায় না। বিচার বিভাগের উন্নয়নে আমলাতন্ত্র একটা বড় বাধা। এখনো আমরা পুরনো আইন যেসব ব্রিটিশরা তৈরি করে দিয়েছিল সেসবের মধ্যে আটকে আছি। আইনগুলো আপডেট করা দরকার। দেওয়ানি কার্যবিধি এমন যে একটা দেওয়ানি মামলা দিয়ে ১০০ বছরও ঘুরানো যায়। সারাদেশে প্রায় ১৫ লক্ষাধিক সিভিল মামলা চলমান। আর বিচারক মাত্র তিনশ জন।”
এরপর আদালত আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) একই আদালতে আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ পরিচালক মো.
এর আগে গত ১ জানুয়ারি আনিসুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ঢাকা/মামুন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৬০ বছর ধরে গান নিয়েই আছি, গানেই আমার যত আনন্দ: সাবিনা ইয়াসমীন
দেশের বরেণ্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন আবারও গান শোনাতে আসছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে গান শোনাবেন তিনি।
‘আমাদের সাবিনা ইয়াসমীন: আমি আছি থাকব’- শীর্ষক এই পরিবেশনার মাধ্যমে এক বছরের বেশি সময় পর আবারও মঞ্চে ফিরছেন সাবিনা।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের এই আয়োজনে পরদিন শনিবারও একই মঞ্চে গাইবেন তিনি। এরপর আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে গান শোনাবেন এই শিল্পী।
সাবিনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক বছরের বেশি সময় পর গান নিয়ে মঞ্চে উঠছি। খুবই ভালো লাগছে। নিজের পছন্দের গানগুলোর পাশাপাশি শ্রোতাদের পছন্দের গানও গাওয়ার চেষ্টা করবো। এরইমধ্যে মহড়া করছি। মঞ্চে ওঠার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিলাম আরকি।’
এরপর এই শিল্পী বলেন, ‘৬০ বছর গান নিয়েই আছি। গানেই আমার যত আনন্দ। সেই আনন্দের জায়গায় ফেরার অনুভূতি অন্য রকম।’
কয়েক দিন ধরেই বনানীর একটি স্টুডিওতে যন্ত্রীদের নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন সাবিনা। এদিন অর্কেস্ট্রার সঙ্গে লাইভ পরিবেশনা হবে। যা শ্রোতাদের জন্য বাড়তি পাওয়া হবে।
বলা প্রয়োজন, ২০২৩ সালের শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেনে একাধিক স্টেজ শো করেন সাবিনা ইয়াসমীন। এরপর তাকে আর মঞ্চে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, অসুস্থতার কারণে গান থেকে দূরে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমীন। ইচ্ছা করেই নিজের অসুস্থতার খবর জানাতে চাননি। ক্যানসারের চিকিৎসার পর নিয়মিত ফলোআপে সিঙ্গাপুর যেতে হয়েছে তাকে। চিকিৎসা শেষে গত মে মাসে ঢাকায় ফেরেন। এখন সুস্থ আছে এই শিল্পী।