নাইজেরিয়ার গ্যাসোলিনে একটি পরিপূর্ণ ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ নাইজারের সুলেজা এলাকায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। রোববার দেশটির কর্মকর্তারা জানান বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে।

এর আগে প্রত্যক্ষদর্শী এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, জেনারেটরের মাধ্যমে একটি ট্যাংকার ট্রাক থেকে অপর একটি ট্রাকে গ্যাসোলিন স্থানান্তরের সময় ঘটে এই বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই দুই ট্রাকের কর্মী, তেল স্থানান্তর কর্মী এবং বেশ কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নাইজার রাজ্যের এফআরএসসি সেক্টর কমান্ডার কুমার সুকওয়াম বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র স্থানীয় বাসিন্দা। তারা ট্রাকটি উল্টে যাওয়ার পরে ছিটকে যাওয়া পেট্রোল সংগ্রহ করতে ছুটে এসেছিল। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ট্যাংকারটি আগুনে ফেটে যায় হাতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৬০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তা হুসাইনি ইশা মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গ্যাসোলিন স্থানান্তরের সময় ঘটনাস্থলে মোটামুটি ভিড় ছিল। বহু মানুষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ কারণে কত জন নিহত হয়েছেন— তা নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি যে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন, তবে এই সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে।”

আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইশা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এর আগে গত অক্টোবরে নাইজেরিয়ার জিগাওয়া রাজ্যে এক ভয়াবহ ট্যাংকার বিস্ফোরণে ১৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ