নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত ৮৬
Published: 20th, January 2025 GMT
নাইজেরিয়ার গ্যাসোলিনে একটি পরিপূর্ণ ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ নাইজারের সুলেজা এলাকায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। রোববার দেশটির কর্মকর্তারা জানান বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শী এবং জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা দপ্তরসূত্রে জানা গেছে, জেনারেটরের মাধ্যমে একটি ট্যাংকার ট্রাক থেকে অপর একটি ট্রাকে গ্যাসোলিন স্থানান্তরের সময় ঘটে এই বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই দুই ট্রাকের কর্মী, তেল স্থানান্তর কর্মী এবং বেশ কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নাইজার রাজ্যের এফআরএসসি সেক্টর কমান্ডার কুমার সুকওয়াম বলেছেন, নিহতদের বেশিরভাগই হতদরিদ্র স্থানীয় বাসিন্দা। তারা ট্রাকটি উল্টে যাওয়ার পরে ছিটকে যাওয়া পেট্রোল সংগ্রহ করতে ছুটে এসেছিল। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ট্যাংকারটি আগুনে ফেটে যায় হাতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৬০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তা হুসাইনি ইশা মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গ্যাসোলিন স্থানান্তরের সময় ঘটনাস্থলে মোটামুটি ভিড় ছিল। বহু মানুষ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ কারণে কত জন নিহত হয়েছেন— তা নির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি যে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন, তবে এই সংখ্যা আরও বেশিও হতে পারে।”
আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইশা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এর আগে গত অক্টোবরে নাইজেরিয়ার জিগাওয়া রাজ্যে এক ভয়াবহ ট্যাংকার বিস্ফোরণে ১৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’