শুটিং সেটে আহত হয়েছেন বলিউড অভিনেতা অর্জুন কাপুর, ভূমি পেডনেকারসহ অনেকে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মুম্বাইয়ে রয়্যাল পামসের ইম্পেরিয়াল প্যালেসে ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’ সিনেমার শুটিং চলছিল; সেখানে সেটের সিলিং ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কেউই গুরুতর আহত হননি।

মুদাসসার আজিজ নির্মাণ করছেন ‘মেরে হাজব্যান্ড কি বিবি’। অর্জুন ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন রাকুল প্রীত সিং। এ ঘটনায় রাকুল আহত হননি। তবে রাকুলের স্বামী প্রযোজক জ্যাকি ভগনানি, পরিচালক আজিজসহ কয়েকজন ক্রু সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।

ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন সিনে এমপ্লয়ীজের (এফডব্লিউআইসিই) প্রেসিডেন্ট বিএন তিওয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি। তবে অনেক কিছুই ঘটতে পারত। সৌভাগ্যক্রমে কেউই বেশি আহত হননি।”

আরো পড়ুন:

বিতর্ক মাথায় নিয়েই বিগ বসের বিজয়ী করন

আহত সাইফ আলী খানকে দেখতে মুম্বাইয়ে শাকিব?

দুর্ঘটনাস্থলে আপাতত শুটিং বন্ধ রয়েছে এ তথ্য জানিয়ে বিএন তিওয়ারি বলেন, “যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে শুটিং বন্ধ করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে, স্টুডিওর সিলিং ভেঙে পড়েছিল। তবে সেখানে যেকোনো কিছু ঘটতে পারত। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে।”

হতাশা ব্যক্ত করে বিএন তিওয়ারি বলেন, “ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। ফিল্ম সিটিকেও চিঠি দিয়েছি। আমাদের অবকাঠামো এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, যেকোনো সময়ে ভেঙে পড়বে, অগ্নি নির্বাপণের কোনো গেট নেই— এসব তথ্য তাদের জানানো হয়েছে। আসলে, পুরো চলচ্চিত্র শিল্প ঈশ্বরের সাহায্যে চলছে। কিন্তু ঈশ্বর কতক্ষণ দেখবেন।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ