`এটাই ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল দল`"
Published: 20th, January 2025 GMT
“এটাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বল দল”, বলেছেন দলটির কোচ রুবেন আমোরিম। রোববার (১৯ জানুয়ারি, ২০২৫) ইনহলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারার পর এমনটাই বলেছেন ম্যানচেস্টারের পর্তুগিজ কোচ।
আমোরিমের হতাশা স্বাভাবিক। ইংলিশ লিগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সবশেষ তিনটা ম্যাচ হেরেছে ব্রাইটনের বিপক্ষে। এখানেই শেষ না, এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বশেষ ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরেছে রেড ডেভিলরা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল করেন ব্রাইটনের ইয়ানকুবা মিনতে। পেনাল্টি কিকে ম্যাচের ২৩ মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। বিরতির পর ৬০ মিনিটে কাউরো মিতোমার গোলে ফের লিড নেয় ব্রাইটন। ঠিক তার ১৬ মিনিট পর জর্জিনিও রুথার গোল করে ম্যানচেস্টারের কফাইন শেষ পেরাক ঠুকেন।
আরো পড়ুন:
এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল
যোগ করা সময়ের নাটকে জয়ী লিভারপুল
ম্যাচ জেতানো নুনেজকে ‘শেষ ৩০ মিনিটের’ সেরা বললেন স্লট
ম্যানচেস্টারের লালরা আগের ম্যানেজার এরিক টেন হাগকে বহিষ্কার করে নিয়োগ দেয় স্পোর্টিং সিপির সফলতম কোচ আমোরিমকে। তবে তাতেও ফেরেনি রেড ডেভিলদের ভাগ্য, হারের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে তারা। পর্তুগিজ কোচের অধীনে ১৫ ম্যাচের মাত্র ৫টিতে জিতেছে ম্যান ইউনাইটেড এবং হেরেছে ৭টি।
এই ব্যাপারটা আমোরিমকেও পীড়া দেয়,“আমরা (ম্যান ইউনাইটেড) এমন একজন নতুন কোচ পেয়েছি যার অধীনে দল আগের চেয়ে বেশি হারছে।ব্যাপারটা সম্পর্কে আমি অবগত।”
তবে সমালোচনার মধ্যেও এই ৩৯ বছর বয়সী কোচ তার কৌশল পরিবর্তনে রাজি নন,“আমি কোন পরিস্থিতিতেই কৌশল পরিবর্তন করতে যাচ্ছি না। খেলোয়াড়রা এবং ভক্তরা হয়তো কষ্ট পাবেন। তাদের জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত, তবে আমার কাজ করার একমাত্র একটি পদ্ধতিই (কৌশল সম্পর্কে) আছে। আমি জানি আমরা সফল হতে পারব, তবে আমাদের এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে হবে।”
এরপরই বোমা ফাটালেন আমোরিম, ‘আমি জানি আপনারা (সংবাদমাধ্যম) শিরোনাম চান। আপনার শিরোনামগুলো তৈরি করুন; আমরা সম্ভবত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ দল।”
২২ ম্যাচ শেষে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৩তম স্থানে আছে ম্যান ইউনাইটেড। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে টেবিলের নবম স্থানে ব্রাইটন, তাদের পয়েন্ট ৩৪।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ব র ইটন
এছাড়াও পড়ুন:
সরস্বতি পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জমজমাট প্রতিমার হাট
আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এখন চলছে প্রতিমার বেচাকেনা। এবার প্রতিমার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া থাকলেও কারিগররা বলছেন, জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমার দামও কিছুটা বাড়তি।
পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আশীর্বাদ লাভের আশায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু বাড়িতেই নয় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হবে।
এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হলো প্রতিমা। ফলে জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী, সদর উপজেলার সাতপাড়, বৌলতলী, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, ঘাঘর বাজারসহ অনেক স্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে আনা এক একটি প্রতিমা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাসপূর্ণিমা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা
এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিমার দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, দাম সাধ্যের মধ্যে আবার কেউবা বলছেন দাম আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে, এর মধ্যেও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব হাট থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো প্রতিমা। হাটে শুধু প্রতিমাই নয় বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা, মিষ্টিসহ পূজার অন্যান্য উপকরণও।
রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতি পূজার পাশাপশি বসন্ত পঞ্চমীতে গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, কলম ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীত ঋতুর অবসান হয়ে বসন্ত ঋতুর আগমন বার্তা ঘটবে।
প্রতিমা কিনতে আসা উত্তম সাহা বলেন, “শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। এবার বাড়িতে পূজা করাব। ছেলেকে নিয়ে হাটে প্রতিমা কিনতে এসেছি। ঘুরে ফিরে পছন্দমত প্রতিমা কিনেছি। আমি মনে করি, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।”
অপর ক্রেতা নারু গোপাল বলেন, “প্রতিবছর এখানে প্রতিমার হাট বসে। এবে এবার প্রতিমার আমদানি একটু কম। তারপরেও দেখে বুঝে দরদাম করে একটি প্রতিমা কিনেছি। এবার আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজা হবে।”
অপর ক্রেতা পরিমল চন্দ্র ঢালী বলেন, “এক একটি প্রতিমা ২০০ তেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাটে এসে প্রতিমা দেখছি। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম একটু বেশি।”
গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীর হাটে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা উত্তম পাল বলেন, “এবার ২০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবার ক্রেতার সংখ্যা একটু কম। আশা করি, বাকি দুই দিনও বেচাকেনা হবে।”
কার্ত্তিক পাল বলেন, “কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রাম থেকে ৩০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে প্রতিমা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রতিমা তৈরির অনুসঙ্গের যে দাম তাতে খরচও উঠছে না।”
স্বপন পাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তারপরেও বাব-দাদার পেশা আমরা ধরে রেখেছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ