নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর  যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ নাটকের পরপর দুইদিন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আজ  একটি প্রদর্শনী রয়েছে। একই হলে আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটায় থাকছে নাটকের আরও একটি প্রদর্শনী। 

প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত ‘মার্ক্স ইন সোহো’ বাংলায় অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন, নির্দেশনা দিয়েছেন নায়লা আজাদ। এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।

n‘মার্ক্স ইন সোহো’তে দার্শনিক এবং ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকে একই সুতোয় গেঁথেছেন প্রখ্যাত মার্কিন ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন। ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর দুই সত্তা। দেড় শ বছর পেরিয়ে এসেও মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ কতটা প্রাসঙ্গিক ও জরুরি, সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। আর এ কারণেই নাটকটি বিশেষ হয়ে উঠেছে। 

এ প্রসঙ্গে নাটকটির অনুবাদক জাভেদ হুসেন বলেন, ‘মার্ক্সের ভাবনা আর সংগ্রাম মানুষের প্রতি আকুল ভালোবাসার ফল। তাঁর রুখে দাঁড়াবার ডাক দেখায় কেন এই সঙ্কটের কালে তাঁকে যে কোন সময়ের চাইতে বেশি প্রয়োজন।  কার্ল মার্ক্স মানুষের সম্ভাবনা সত্য করার যে প্রয়োজনের কথা বলেছেন তা  পাঠকদের কাছে হাজির করার জন্য এর অনুবাদ করা হয়েছে। নাটকটি বাংলাভাষীদের নতুন করে এই জগতকে নিয়ে ভাবতে, বুঝতে, আর একে বদলের কাজে নামতে কাজে লাগুক’। নির্দেশক নায়লা আজাদের ভাষ্যে, কার্ল মার্ক্স ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন।’ 

নির্দেশকের আশা, বটতলা এবং যাত্রিক-এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর চিন্তাকে আরও বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে। 

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন হুমায়ুন আজম রেওয়াজ ও উম্মে হাবিবা। সংগীত, সেট ও দৃশ্য পরিকল্পনায় নায়লা আজাদ। কোরিওগ্রাফি নায়লা আজাদ ও উম্মে হাবিবা। সংগীত প্রয়োগে ইভা আফরোজ খান, পোশাক পরিকল্পনায় তাহমিনা সুলতানা।

 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-স্ত্রীর গতিরোধ করে যুবক বললেন, ‘বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছি কোথায়? দাঁড়া সমন্বয়ক আসছে’

কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে শ্লীলতাহানি, অপহরণচেষ্টা ও মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার মামলায় মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে, সকালে রাজীবপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। 

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি এলাকার আলীর ছেলে। 

মামলার বাদী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘মেয়ে, মেয়ের স্বামী, ননদ ও দেবর দাওয়াত খেয়ে সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরছিল। তারা উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাদের পিছু নেয় মেহেদী হাসান, নিশাত, মো. আশাসহ আরও কয়েকজন যুবক। পরে মরিচাকান্দি এলাকায় একটি সেতুর ওপর তাদের বহনকারী ইজিবাইকটি গতিরোধ করে তারা। এ সময় মেহেদী হাসান মেয়ে জামাই শিহাবকে বলেন, বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছ কোথায়? তখন শিহাব উত্তরে বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যাব কেন? প্রয়োজনে আমার শ্বশুরের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে নিশ্চিত হন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেহেদী হাসান, রঞ্জু মিয়া নামের আরেকজনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। এ সময় তাঁর জামাই শিহাব অভিযুক্তদের কাছে জানতে চান, কাকে ডাকছেন? তখন মেহেদী বলেন, দাঁড়া আমার বড় ভাই সমন্বয়ক, সে আসছে। একপর্যায়ে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের বহনকারী আরেকটি ইজিবাইক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।’

ভুক্তভোগী শিহাব বলেন, ‘মরিচাকান্দি এলাকায় সেতুর ওপর গতিরোধ করে বেশ কয়েকজন যুবক। এ সময় তারা নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে আমার স্ত্রী ও চাচাতো বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং অপহরণের চেষ্টা করে। তারা মুক্তিপণও চায়। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমাদের আরও একটি ইজিবাইক সেখানে এলে তারা পালিয়ে যায়।’

রাজীবপুর থানার দায়িত্বরত এসআই আতিকুর জামান বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়েই চলেন তারা (মামলার আসামিরা)।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বামী-স্ত্রীর গতিরোধ করে যুবক বললেন, ‘বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছিস কোথায়? দাঁড়া সমন্বয়ক আসছে’
  • স্বামী-স্ত্রীর গতিরোধ করে যুবক বললেন, ‘বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছি কোথায়? দাঁড়া সমন্বয়ক আসছে’