যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হতে যাওয়া মেলানিয়া ট্রাম্প তার স্বামীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের একদিন আগে একটি নতুন ডিজিটাল মুদ্রা (ক্রিপ্টোকারেন্সি) চালু করেছেন। এই নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম $ MELANIA।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শনিবার $Trump ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার একদিন পর, তার স্ত্রী মেলানিয়াও নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি চালুর ঘোষণা দিলেন। 

রবিবার (১৯জানুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে মেলোনিয়া লেখেন,  তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ, যেখানে তিনি লেখেন, “অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম লাইভ! এখন আপনি $ MELANIA কিনতে পারবেন।” 

আরো পড়ুন:

ট্রাম্পের শপথ আজ

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প

‘অফিসিয়াল মেলানিয়া মেম’-এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি ডিজিটাল মুদ্রা, যা সোলানা ব্লকচেইনে তৈরি ও ট্র্যাক করা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, উভয় ডিজিটাল মুদ্রা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তবে লেনদেনে (ট্রেডিং) রয়েছে কিছুটা অস্থিরতা। $ Trump ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার এবং $ MELANIA এর বাজারমূল্য প্রায় ১.

৭ বিলিয়ন ডলার।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্প এর আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ‘ধোঁকাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন, তবে ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় সময় তিনিই প্রথম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডিজিটাল সম্পদ অনুদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। 

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুদ তৈরি করবেন এবং ডিজিটাল সম্পদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন এমন আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করবেন।

ক্রিপ্টো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম কয়েনবেস অনুসারে, ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের মূল্য নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে লেনদেন হচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইলন মাস্ক শিগগির দায়িত্ব ছাড়ছেন, বলেছেন ট্রাম্প

ইলন মাস্ক আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের জানিয়েছেন।

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে নবগঠিত সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় ও কর্মীবহর কমানো ছিল এই বিভাগের কাজ।

ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর পর মাস্কের পরামর্শে অনেকগুলো বড় বড় সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডি বন্ধ করা এবং লাখ লাখ সরকারি চাকরিজীবীকে অবসরে পাঠানোর মতো সিদ্ধান্ত দেশটিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল।

ইলন মাস্কের সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইলন মাস্ক এখন তাঁর ব্যবসায়িক কাজে ফিরে যাবেন। পাশাপাশি তিনি সরকারকে সহায়তার একটি ভূমিকা পালন করবেন।

মাস্ক ও তাঁর বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন ট্রাম্প। তবে সম্প্রতি দুজনেই এই বিষয়ে একমত হন যে, মাস্কের সরে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে।

ডিওজিইর দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কিন্তু চঞ্চল মনোভাবের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের ভেতরের লোকজন এবং প্রশাসনের বাইরের অনেক মিত্র মাস্ককে অপছন্দ করা শুরু করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাল্লা ভারী হতে থাকে। অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ এই ধনীকে সম্পদের পরিবর্তে রাজনৈতিক দায় হিসেবে দেখতে শুরু করেন ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা।

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও মাস্ক সম্ভবত প্রেসিডেন্টের অনানুষ্ঠানিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। মাঝে–মধ্যে তাঁকে হয়তো হোয়াইট হাউসে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ