বিবাহবার্ষিকীতে স্বামীকে প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী তমালিকা
Published: 20th, January 2025 GMT
পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এক সময়ের অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার। গুঞ্জন ছিল, সেখানে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। তবে কোনোভাবেই সেটা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। এবার অভিনেত্রী নিজেই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনলেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সামাজিক মাধ্যমে স্বামী প্রভীনকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান তমালিকা। তবে কবে, কখন, কোথায় তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে এ বিয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে ক্যাপশনে তমালিকা লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী প্রভীন’।
তার এই পোস্টে বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেন মাসুম রেজা, আঁখি আলমগীর, গোলাম ফরিদা ছন্দা, নাজনীন চুমকি, শারমীন জোহা শশী, শ্যামল মাওলা, হৃদি হক প্রমুখ।
ঘনিষ্ঠদের ভাষ্যমতে, অনেকদিন আগেই বিয়ে করেছেন তমালিকা ও প্রভীন। অভিনেত্রীর খুব কাছের মানুষেরা এ বিষয়ে জানতেন। তবে এই দম্পতির কেউই বিয়ের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কাউকে জানাতে চাননি।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর তমালিকার সঙ্গে প্রভীনের পরিচয়। এরপর প্রেম থেকে পরিণয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।