বিশ্বকাপের মূলপর্বে সরাসরি জায়গা করে নিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে অন্তত দুইটি জয় দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৯ উইকেটের বড় পরাজয়ে নিজেদের পথ কঠিন করে ফেলেছে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন দল।  

সেন্ট কিটসে সোমবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার হিলি ম্যাথুস ও কিয়ানা জোসেফের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১০৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।  

১৬৩ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়েন ম্যাথুস ও জোসেফ। কিয়ানা ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৯ বলে খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। অন্যদিকে, অধিনায়ক ম্যাথুস ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন ১৬ চারসহ ৯৩ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন রাবেয়া খান।  

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ফারজানা হক দ্রুত ফিরে গেলেও (১০ রান), মুরশিদা খাতুন (৫৩ বলে ৪০) ও শারমিন আক্তার (৭০ বলে ৪২) দলের জন্য ভালো ভিত্তি গড়ে দেন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ম্যাথুসের অফ স্পিনে ফিরতে হয় দুজনকেই। মিডল অর্ডারে শবনম মোস্তারি (৩৫) ও স্বর্ণা আক্তার (২৯) কিছুটা লড়াই করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। ফলে বাংলাদেশ দল দুইশ রান পূর্ণ করতে পারেনি।  

২০২৫ নারী বিশ্বকাপে স্বাগতিক ভারত ছাড়া নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ পাঁচ দল মূলপর্বে সরাসরি জায়গা পাবে। বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ১৯, আর পঞ্চম স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ২১। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বুধবার। এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ