ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল সম্প্রতি বিপিএলে মাঠে মেজাজ হারানোর জন্য আলোচনায় রয়েছেন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অ্যালেক্স হেলস এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সাব্বির আহমেদের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডার পর এবার চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচেও বিতর্কে জড়ান তিনি। ম্যাচে ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকে রান আউট হওয়ার পর তাদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির আভাস পাওয়া যায়।  

ম্যাচ শেষে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হওয়া আলোচনা সম্পর্কে ফেসবুকে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন তামিম। তিনি লিখেছেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন মালানের সঙ্গে মাঠে কিছু হয়েছে কি না। এটা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। মালান আসলে প্রতিপক্ষের একজন খেলোয়াড়কে জবাব দিচ্ছিল।’  

তামিম জানান, আউট হওয়ার পর মালান তাকে ‘সরি’ বলে ইশারা করেন, আর তিনি সেই দিকে তাকিয়েই মাঠ ছাড়েন। মালান পরে প্রতিপক্ষের এক ফিল্ডারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। তামিম বলেন, ‘মালান ওই ফিল্ডারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। অথচ এটাকেই অনেকে বানিয়ে ফেলেছেন, যেন আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে!’ 

বরিশাল অধিনায়ক আরও লেখেন, ‘টিভিতে দেখা কয়েকটি দৃশ্য দেখে চূড়ান্ত ধারণা নেওয়া ঠিক নয়। অনেক সময় টিভিতে পুরো ঘটনা ফুটে ওঠে না, যা স্বাভাবিক।’  

তামিম তার স্ট্যাটাসে সবাইকে আহ্বান জানান, মাঠে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে অনুমান নির্ভর মন্তব্য না করার। তিনি লেখেন, ‘যারা মাঠে থাকেন, তারাই প্রকৃত ঘটনা জানেন। টিভিতে কয়েক ঝলক দেখে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠক ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল জানিয়েছেন, আলোচনায় সীমান্ত-সম্পর্কিত সব বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে এবং পারস্পরিক সম্মত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তিগুলোকে ‘সম্মান’ করার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হবে।

সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, ‘২০২৫ সালের ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ডিজি পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই আলোচনায় সীমান্ত সম্পর্কিত সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা আশা করি পারস্পরিকভাবে সম্মত সব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিকে সম্মান জানানো হবে। এগুলো দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কাঠামোগত সম্পৃক্ততার ভিত্তি এবং সীমান্তে পারস্পরিকভাবে উপকারী নিরাপত্তা ও বাণিজ্য অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ