জয়ের খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশের হার
Published: 20th, January 2025 GMT
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশের জুনিয়র টাইগ্রেসরা। লো-স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারে উত্তেজনা তৈরি হলেও শেষমেশ ২ উইকেটে হারতে হয় তাদের।
সোমবার মালয়েশিয়ার ইউকেএম ক্রিকেট ওভালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক লুসি হ্যামিলটন। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়। লোয়ার মিডল অর্ডারে আফিয়া আসিমার ৩৪ বলে ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস ছাড়া আর কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেনি। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯১ রান যোগ করতে সক্ষম হয় তারা।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। উদ্বোধনী জুটিতে ৩ ওভারেই ২৬ রান তোলে তারা। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক লুসি হ্যামিলটন এবং ওপেনার কেইট পেলে যোগ করেন আরও ৫০ রান। তবে ৬৭ রানে লুসি আউট হওয়ার পর থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরতে শুরু করে।
বাংলাদেশি বোলাররা দুর্দান্ত স্পেল উপহার দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলেন। মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৫ উইকেট। বিশেষ করে জান্নাতুল মাওয়ার দুর্দান্ত বোলিং (৩ উইকেট) এবং নিশিতা আক্তার, হাবিবা ইসলাম, আনিসা আক্তারের নিয়ন্ত্রিত বোলিং প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলে দেয়।
শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ১ রান, আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই লেগবাই থেকে জয়সূচক রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ। তবে লড়াইয়ের মানসিকতা এবং বোলারদের পারফরম্যান্স আশার আলো দেখিয়েছে। তবুও ব্যাটিং ব্যর্থতাই মূলত ভুগিয়েছে দলকে।
‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ বুধবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল সুমাইয়া আক্তারের দল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে : মাজেদুল
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম বলেছেন, আমরা অনেকেই নামাজ পড়ি, কিন্তুু সুদখাই, আমরা নামাজ পড়ি ঘুষখাই, আমরা নামাজ পড়ি নেশার সাথে জড়িত, আমরা নামাজ পড়ি মাদক ব্যবসা করি, আমরা নামাজ পড়ি আবার অন্যেও হক মেরে খাই, আমরা দুর্বল মানুষের উপর জুলুম করি, আমি মনে করি আমাদের এই নামাজ কোন কাজে আসবে না।
আগে আমাদের আত্মাশুদ্ধ করতে হবে, ঈমান ঠিক করতে হবে। আমার মনের ভিতরে এমন বাসনা আনতে হবে যে আমি নামাজ পড়বো মানুষের হক মেরে খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো সুদ খাবোনা, আমি নামাজ পড়বো ঘুষ খাবোনা, আমি দুর্বলের উপর জুলুম করবোনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি দক্ষিনপাড়া যুব ও কিশোর সংঘের উদ্যোগে কবরবাসীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় ১৫তম বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, আজকে আমারা এখান থেকে ওয়াজ শুনে গেলাম জামাতের সাথে ফজর নামাজ পড়লাম না, তাহলে এই ওয়াজ শুনে আমাদের কোন ফয়দা হবে না। আমরা এখানে এসেছি শিখতে, আমরা এখান থেকে শিখবো এবং তা পালন করবো। আমি জানি এই এলাকায় অনেকেই অসহায়দের উপর জুলুম করে, অনেকেই মাদক ব্যবসা করে।
আল্লাহতালা যদি আমাকে কোনদিন সুযোগদেন আমি কিন্তুু আপনাদের ছাড়বো না, নেশার সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা। নেশার ব্যবসা যারা করে তাদের সাথে আমি কোন আপোষ করবোনা, তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যতোদিন বেচে থাকবো আপনাদের সেবা করে যাবো, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যতোদিন বেচে থাকবো এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
বাইতুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি হাজী বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা গাজী সোলাইমান আল-কাদরী। বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন হযরত মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মোঃ আমানুল্লাহ।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাইতুল আতিক জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ওমর আলী, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড্যাঃ মাসুদুজ্জামান মন্টু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান, হাজী নুরুল ইসলাম ও লোকমান হোসেন প্রমূখ। মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মিজানুর রহমান।