ঢাকার সাভারে একটি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জেরে ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে জামিনে বের হয়ে আসা আসামিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে হেমায়েতপুরের জাদুরচর পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

আহতরা হলেন- সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকার মোসা.

সেলিনা আহমেদ (৫২), তার ছেলে আহমেদ সানি (২৯), ভাই মো. ফারুক (৪৭), মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মো. শাহীন মাহমুদ (৩৭) এবং ভাতিজা আবিদ হাসান সিয়াম (১৭)।

এর মধ্যে, আহমেদ সানিকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও অন্যদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে হেমায়েতপুরের জাদুরচর পশ্চিমপাড়ায় অবস্থান করছিলেন সেলিনা আহমেদ। এ সময় আগের একটি হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে জামিনে মুক্ত হওয়া আসামি রকিবুল ইসলাম ফয়সাল (২৮) ও তার বাবা কিয়াম উদ্দিনের (৫৮) সহযোগিতায় রিপন (২৮), জিয়া (৪৬), সুজন (২০), জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), আশরাফুল ইসলাম (১৯), রাফিউল ইসলাম (২০), মুরাদ হোসেনসহ (২৮) আরো ১০ থেকে ১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেলিনা আহমেদের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাঁ হাত জখম হয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার ছেলে সানি, ভাই ফারুক, দেলোয়ার, শাহীন ও ভাতিজা আবিদ এগিয়ে গেলে তাদেরও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেলিনা আহমেদ বলেন, ‘‘হেমায়েতপুরে সাহাবুদ্দিন হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে এসেছেন। ওই মামলার সাক্ষী আমার ছেলে আহমেদ সানি ও ভাই মো. শাহীন। এ কারণে তারা আমাদের কুপিয়েছে।’’

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/সাব্বির/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে যুবকের দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন 

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ইসরাফিল নামে এক যুবককে কুপিয়ে দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইসরাফিল ওই এলাকার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ইসরাফিলের বাবা তাইজুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ এলাকায় এসে বাড়ি করেন। তারা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী ইসরাফিলের চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে তাকে রাস্তার ধারে দুই হাত কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাটোর সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সুব্রত বলেন, “রোগীর দুই হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয়েছে বলে মনে হলো। সকাল ৭টার দিকে রোগীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।”

সিংড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, “রাজনৈতিক কোনো বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেনি। পরকীয়া সংক্রান্ত একটা বিষয় থাকতে পারে, সেই বিষয়টাও যাচাই-বাছাই করছি। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদেরকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।”

ঢাকা/আরিফুল/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ