কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

রিটে কোনো নীতিমালা ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা কেন অসাংবিধানিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগে নীতিমালা করার আবেদন জানানো হয়েছে রিটে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করার ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমা করার ক্ষমতা অবাধ, যার কোনো নীতিমালা নেই। কে, কিসের ভিত্তিতে ক্ষমা পাচ্ছেন, তার কোনো নীতিমালা নেই, যা সংবিধানের ৭, ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইতোমধ্যেই এই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্ষমা পেয়েছেন। যার মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধানের ভাই জোসেফ, আসলাম ফকির অন্যতম।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বছরের পরে বছর রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করার ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ক্ষমা করা হয়েছে। এর ফলে, সাধারণ জনমনে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশংকা হয়। ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়। এই ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে, নীতিমালা প্রণয়ন করা আবশ্যক।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পার্লামেন্ট সচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপব যবহ র ক ষমত র

এছাড়াও পড়ুন:

পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা  জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ  একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাদারীপুরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইমদাদুল, সাধারণ সম্পাদক শাকিল
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি
  • চাঁদপুরে আইনজীবী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহির, সম্পাদক ফয়সাল
  • ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন তিন দিনের রিমান্ডে
  • সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে
  • আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সরে দাঁড়াতে বিক্ষোভ
  • বিএনপি-জামায়াত লড়াই, বর্জন আ’লীগ-বামদের
  • সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের তোপের মুখে সাংবাদিকরা
  • পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য