ভারত থেকে চোরাই পথে আসা প্রায় ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের কসমেটিকস উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। একইসঙ্গে এ চক্রের হোতা ফিরোজ আলম বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। এক চালানেই চক্রটি সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে ৬ লাখ টাকা।

সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, রাজধানীর বনশ্রীতে অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যানের ভিতরে ও আটক ফিরোজের বাসায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় প্রসাধনী পাওয়া যায়। চার ধরনের প্রডাক্টের মোট ২৫ হাজার ৪৪ পিস প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়।

মো.

মিজানুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আশায় বর্ডারে তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই চক্রটি নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে। এতে দুই দেশের বর্ডার স্থানীয়রা সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে কুমিল্লার বর্ডার দিয়ে এই প্রসাধনী ঢুকছে, তাদের ধরতে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে।

গ্রেপ্তার ফিরোজসহ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

টিউশন শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শাকিলকে উদ্ধার করেন। এসময় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।

এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আমরা জানতে পারি সবুজকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আটকে রেখে টাকা দাবি করছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজের মাধ্যমে ফোন দিচ্ছে। তারপর আমরা ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ ভাইকে জানালে ওনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর থেকেই পুলিশ সবুজের লোকেশন ট্রেস করতেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা পর একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে সবুজকে উদ্ধার করি।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান বলেন, সবুজের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাঈদ আমাকে অবগত করে। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালিকে ফোন দিয়ে তা জানানো হয়। আমাদের মহানগর কমিটির একটি টিম কান্দিরপাড় অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সবুজের লোকেশন শনাক্ত করা হয়। পুলিশ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ কাজেম স্যার, বৈবিছা-র সদস্যবৃন্দ, সবুজের সিনিয়র-জুনিয়র-ব্যাচমেট সবার তৎপরতায় আনুমানিক রাত ৩টায় সবুজকে উদ্ধার করতে আমরা সমর্থ হই।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন থেকে পাঁচজনের একটি চক্র শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
  • হাত বদলে দাপট দেখাচ্ছে মাটিখেকো চক্র
  • পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব