Samakal:
2025-01-31@13:01:38 GMT

ঢাকা লিগের কাছে কৃতজ্ঞ মালান

Published: 20th, January 2025 GMT

ঢাকা লিগের কাছে কৃতজ্ঞ মালান

ডেভিড মালানের পরিচয় তখন কাউন্টি ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে খেলেন মিডলেক্সে। ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৩-২০১৪ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এলেন প্রাইম দোলেশ্বরে। পেস বলে সপাটে খেলেন, স্পিনে দুর্বল। মালানের এভাবে আউট হওয়া দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল কোচ মিজানুর রহমান বাবুলকে। স্পিনে ভালো করতে এ ব্যাটারকে বিশেষ সেশন করাতে থাকেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুই মৌসুমে স্পিন বলেও ভালো খেলা শিখে গিয়েছিলেন মালান। 

১০ বছর আগের শিক্ষা আজও ভোলেননি ৩৭ বছর বয়সী এ ব্যাটার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টানা দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করলেন মালান। ঢাকা ক্যাপিটালের বিপক্ষে ৪৯ রানে অপরাজিত। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে হার না মানা ৫৬। গতকালের স্লো উইকেটে ধরে খেলে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। মালানের সেরা হওয়ার দিনে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে ফরচুন বরিশাল। অথচ লিগের শুরুর পাঁচ ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর।

ঢাকা লিগে খেলে ইংল্যান্ড দলে ঢোকার পথ তৈরি করেছিলেন মালান। পেস-স্পিন বোলিংয়ের দুই ধারাকে শামলাতে শেখা মালানকে ২০১৭ সালে জাতীয় দলের জার্সি তুলে দিয়েছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ২০১৬ সাল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও নিয়মিত হন। পেশোয়ার জালমি, বরিশাল বুলস, খুলনা টাইটান্স, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেন। গত পরশু কথায় কথায় মালান ডুবে গেলেন স্মৃতির অতলান্তে। হাতড়ে আনলেন অতীতের অনেক ঘটনা, ‘ওহ, স্পিন বলে খেলতেই পারতাম না। আউট হয়ে আসার পর কোচ বলতেন প্যাডআপ। এর পর নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতাম। আমাকে সোজা খেলতে বলা হতো। সেই সেশনগুলো দারুণ কাজে দিয়েছিল। স্পিন বলে খেলা শিখে গিয়েছিলাম। বলা যায়, ঢাকা লিগ খেলে আমি ব্যাটিংটা ভালো শিখেছিলাম। এখনও চালিয়ে যাচ্ছি।’ 

মিজানুর রহমান বাবুল ছিলেন ঢাকা লিগে মালানের কোচ। তিনি বলেন, ‘একজনই বিদেশি খেলে লিগে। সেও স্পিনে বারবার আউট হলে বিপদ। মালানের জন্য তাই স্পেশাল সেশনের আয়োজন করেছিলাম। ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অনুশীলন হতো। সে খুব দ্রুত শিখে গিয়েছিল।’ 

বাবুল এই বিপিএলেও মালানের কোচ। এখন আর স্পেশাল সেশনের প্রয়োজন হয় না। তাই তো চিটাগংয়ের দেওয়া ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে খেলা শেষ করে এসেছেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি ছাড়া সব পদেই আ.লীগের জয়জয়কার

মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে আওয়ামীপন্থিরা ১৪টিতে জয় পেয়েছেন। সভাপতি পদ ছাড়া অন্য সব পদে তারা জয়ী হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর অনুসারী এমদাদুল হক খান। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়াকে ৭৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমকে ১৫৬ ভোটে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মাহাবুব হোসেন (শাকিল)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও জালালুর রহমান পেয়েছেন ১৩০ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম মিয়া পেয়েছেন ২৯ ভোট (নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পুনরায় গণনা অথবা লটারি করে বিজয়ী প্রার্থী নির্বাচন করা হবে)। সহ-সভাপতি পদে মাহবুব হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে শাকিলা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মশিউর রহমান পারভেজ, কোষাধ্যক্ষ পদে সুজন ভৌমিক, সম্পাদক (লাইব্রেরি) পদে মুনীর হাসান, সম্পাদক (মহরার) পদে এ কে এম আজিজুল হক মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী ৫টি পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিজয়ী ৫ জন হলেন সৈয়দা তাহমিনা খানম, এনামুল হক, আবদুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও আবু সুফিয়ান। এ ছাড়া সম্পাদক (অ্যাপায়ন ও বিনোদন) পদে বদরুন নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক গোলাম মাওলা আকন্দ মুঠোফোনে জানিয়েছেন, মাদারীপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ছাড়া ১৪টি পদেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী কিংবা সমর্থক বিজয়ী হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে সরাসরি আওয়ামী লীগের পদে থাকা কোনো নেতা অংশগ্রহণ করেননি। আওয়ামী লীগের কোনো আইনজীবী নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনিও অন্য সবার মতন বিজয়ী হতেন বলে আমি মনে করি। যারা নির্বাচিত হয়েছেন সবাইকে অভিনন্দন।

তবে এমদাদুল হক খান সভাপতি পদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সমর্থন নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ। তিনি বলেন, সভাপতি পদে আওয়ামী লীগের কেউ প্রার্থী না হওয়ায় তাদের সমর্থক আইনজীবীরা নির্বাচনে মূলত এমদাদুল হক খানকেই ভোট দিয়েছেন। সেকারণেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়া পরাজিত হয়েছেন।

মাদারীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান বলেন, এমদাদুল হক খানকে নির্বাচিত করায় সব আইনজীবীদের ধন্যবাদ। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তার বিজয়ে আমরা আনন্দিত।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য মাদারীপুর আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন জানান, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় তাদের ছয়মাস করে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ