শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রিক বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।  

এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে কোতোয়ালি থানার একটি এবং উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলায়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা.

দীপু মনিকে যাত্রাবাড়ী থানার দুটি মামলায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে যাত্রাবাড়ী থানার চারটি ও মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলায়, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থানার ছয়টি, মোহাম্মদপুর থানার দুটি, সুত্রাপুর থানার দুটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায়, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে, যাত্রাবাড়ী থানার সাতটি, মোহাম্মদপুর থানার একটি এবং খিলগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে।

অন্যদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি এবং সুত্রাপুর থানার একটি মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার,চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলম,সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, মো. জুলহাস, সাব্বির আহমেদ স্বপনকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি করে মামলায়, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে ও সাবেক কাউন্সিলর জামাল মোস্তফাকে ভাষানটেক থানার একটি ও কাফরুল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর আওয়ামী লীগ সরকারের একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী এমপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হয়েছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আবার কেউ কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন। 

ঢাকা/মামুন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর থ ন র একট জ র কর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল

মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।

রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।

নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ